২০১৯ সালের তামিলনাড়ুর পোল্লাচির যৌন নির্যাতন মামলায় ৯ অভিযুক্তকে দোষীসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। ছ’বছর পর এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হল। আদালত নয়জন অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৪এ, ৩৫৪বি, ৩৯২ এবং ৩৭৬ আইনের ধারা এবং তামিলনাড়ু নারী নির্যাতন নিষিদ্ধকরণ আইনের ধারা ৪-এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
আরও পড়ুন-'একটি পরীক্ষা কখনও...,' সিবিএসই-র দ্বাদশ এবং দশমের পড়ুয়াদের বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার সকালে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে অভিযুক্তদের কোয়েম্বাত্তুরের আদালতে হাজির করানো হয়। শহরজুড়েও নজরদারি জোরদার করা হয়। আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ২০০-র বেশি নথি খতিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি ৪০০-র বেশি ডিজিটাল প্রমাণও পেশ করা হয় রাজ্যের তরফে।
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘ভুক্তোভোগীদের ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করা হয়েছিল। কোনও সাক্ষীই তার বিরোধিতা করেনি। তবে সাক্ষীদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেই দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছিল। তাঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, আট নির্যাতিতা বয়ান দিয়েছেন এই মামলায়। তাঁদের বয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নারী অধিকার কর্মীরা। তামিলনাড়ু মহিলা সমষ্টির
পোল্লাচির যৌন নির্যাতন মামলা
২০১৯ সালে পোল্লাচিতে এই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আসে। একজন কলেজ ছাত্রী-সহ আট জন মহিলা অভিযুক্তদের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সব ক’টি অপরাধ সংগঠিত হয়। যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ভিডিয়ো করে পরে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠেছিল ৯ জন দোষীর বিরুদ্ধে।
মামলাটি প্রথমে পোল্লাচি পুলিশ তদন্ত করলেও জনরোষ এবং রাজনৈতিক চাপে ২০১৯ সালের ১২ মার্চের সেটি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তদন্তচলাকালীন পুলিশ এই অপরাধে একের পর এক কালো পর্দা উন্মোচন করে। অভিযোগ, ওই ৯ অভিযুক্ত ধর্ষণ, গণধর্ষণের পর তা ভিডিয়ো করে রাখত। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হত। মুখ খুললে ভিডিয়ো ফাঁসের হুমকি দিত।
আরও পড়ুন-'একটি পরীক্ষা কখনও...,' সিবিএসই-র দ্বাদশ এবং দশমের পড়ুয়াদের বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
তবে পুলিশি তদন্ত সন্তুষ্ট ছিল না তৎকালীন বিরোধী দলগুলি। তামিলনাড়ুর তৎকালীন শাসকদল এডিএমকে-এর বিরুদ্ধে একযোগে বিরোধীরা সরব হয়। পরে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। সিবিআই ২০১৯ সালের মে মাসে পাঁচজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে এবং পরে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে।