'একটি পরীক্ষা কখনও জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে না।' এমনই বার্তা দিয়ে সিবিএসই-র দ্বাদশ এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার এক ঘণ্টা তফাতে চলতি বছরের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-র দ্বাদশ এবং দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। উভয় পরীক্ষায় এবারও পাশের হারে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
আরও পড়ুন-ভারতের S-400 ধ্বংসের দাবি করেছিল পাক, চড় কষিয়ে সেটার সামনে দাঁড়িয়েই পোজ মোদীর
এই আবহে এক্স বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'সিবিএসই দ্বাদশ এবং দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন! এটি তোমাদের দৃঢ় সংকল্প, শৃঙ্খলা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল। আজ বাবা-মা, শিক্ষক এবং এই সাফল্যে অবদান রাখা সকলকে স্বীকৃতি দেওয়ারও দিন।' এরপরেই যে পরীক্ষার্থীরা ফলাফলে সন্তুষ্ট হননি, তাঁদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, 'পরীক্ষায় এক্সাম ওয়ারিয়র্স'দের ভবিষ্যতের সাফল্য কামনা করছি! যারা তাদের ফলাফল দেখে কিছুটা হতাশবোধ করছেন, আমি তাদের বলতে চাই: একটি পরীক্ষা কখনই আপনাকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না। আপনার যাত্রাপথ অনেক বড় এবং আপনার শক্তি মার্কশিটের বাইরেও অনেক বেশি। আত্মবিশ্বাসী থাকুন, কৌতূহলী থাকুন, কারণ দুর্দান্ত কিছু অপেক্ষা করছে।'
এবার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ৩৯ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করল বোর্ড। এ বছর মোট পাশের হার ৮৮.৩৯ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৮৭.৯৮ শতাংশ। সেই হিসেবে এ বছর পাশের হার ০.৪১ শতাংশ বেড়েছে।এরমধ্যে মেয়েদের পাশের হার ৯১.৬৪ শতাংশ, ছেলেদের পাশের হার ৮৫.৭০ শতাংশ। অর্থাৎ, এ বার পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এই বছরের সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ৪ এপ্রিল। মোট ১৯,২৯৯টি স্কুল এই পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং ৭,৩৩০টি কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-ভারতের S-400 ধ্বংসের দাবি করেছিল পাক, চড় কষিয়ে সেটার সামনে দাঁড়িয়েই পোজ মোদীর
অন্যদিকে, এ বছর পরীক্ষা শেষের ৫৬ দিনের মাথায় দশম শ্রেণির ফল ঘোষণা করেছে সিবিএসই। চলতি বছর পাশের হার ৯৩.৬৬ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৩.৬০ শতাংশ । অর্থাৎ এ বছর পাশের হার বেড়েছে .০৬ শতাংশ । এরমধ্যে মেয়েদের পাশের হার ৯৫ শতাংশ, ছেলেদের পাশের হার ৯২.৬৩ শতাংশ । অর্থাৎ, সার্বিক পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে ২.৩৭ শতাংশে।