ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জম্মু ও কাশ্মীর-সহ দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি। এই আবহে কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে স্কুল, কলেজ পুনরায় চালু হয়েছে। তবে উপত্যকার সীমান্ত সংলগ্ন জেলা কাঠুয়া, জম্মু, রাজৌরি, পুঞ্চ, সাম্বার স্কুল, কলেজ আপাতত বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন-ভারতের S-400 ধ্বংসের দাবি করেছিল পাক, চড় কষিয়ে সেটার সামনে দাঁড়িয়েই পোজ মোদীর
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। তারপরেই ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারত সেই চেষ্টা প্রতিহত করে। সেই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর গত শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। তারপরেও গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান, যোগ্য জবাব দেয় ভারতও।তবে রবিবার থেকে ধীরে ধীরে শান্ত হয় সীমান্তবর্তী এলাকা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেন ডিভিশনাল কমিশনার বিজয়কুমার বিধুরি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালেই জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও দোদা, কিশতওয়ার এবং রামবানের স্কুলগুলির পঠনপাঠন আবার চালু হয়েছে। তবে সীমান্ত সংলগ্ন জেলা কাঠুয়া, জম্মু, রাজৌরি, পুঞ্চ, সাম্বা এবং উধমপুরের স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। এদিন এক্স বার্তায় জম্মুর ডিভিশনাল কমিশনার জানিয়েছেন, 'পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শিক্ষা দফতর সীমান্ত-বহির্ভূত জেলাগুলির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।'
আরও পড়ুন-ভারতের S-400 ধ্বংসের দাবি করেছিল পাক, চড় কষিয়ে সেটার সামনে দাঁড়িয়েই পোজ মোদীর
পাঞ্জাবে মৃত্যু মিছিল! অমৃতসরের পাঁচ গ্রামে বিষমদের বলি ১৪
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই পাঞ্জাবের স্কুল এবং কলেজগুলিতে ফের পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। পাঞ্জাবের সীমান্ত-বহির্ভূত জেলা গুরুদাসপুর, সাংরুর এবং বার্নালাতে স্কুল ও কলেজে যেতে শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। তবে পাঞ্জাবে সীমান্ত সংলগ্ন অমৃতসর, পঠানকোট, ফিরোজপুর, তর্ন তারানে স্কুল, কলেজ বন্ধ রয়েছে। সেগুলি কবে চালু হবে, তা এখনও জানায়নি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।