২৬ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এক নাবালকের। এরপর তারা গত জুলাই মাসে বিয়েও করে। কিন্তু সংসারে আর্থিক টানাটানি। অগত্যা ইটভাটায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয় ওই দম্পতি। ওড়িশার বাড়ি ছেড়়ে এবার রাইপুর, ঝাঁসি, রাজস্থানে পাড়ি জমায় ওই দম্পতি। ভালোয় মন্দে ঠিকঠাকই চলছিল সংসার। আচমকাই ওই তরুণী বুঝতে পারেন তার প্রতি আকর্ষণ হারাচ্ছে তার স্বামী। সম্পর্কের ফাটল ক্রমেই বাড়তে থাকে। এরপর অভিযোগ, ৫৫ বছর বয়সী এক ব্য়ক্তির কাছে নিজের স্ত্রীকে বিক্রি করে দেয় ওই নাবালক স্বামী। এরপর কাজকর্ম সব লাটে তুলে ওড়িশায় ফিরে আসে সে। কিন্তু স্ত্রীকে ছাড়াই একলা এভাবে বাড়ি ফিরে আসায় সন্দেহ দানা বাঁধে বধূর বাবার বাড়ির লোকজনের। এরপরই তাকে চেপে ধরেন সকলে। এদিকে নাবালকের দাবি, স্ত্রী অন্য কারোর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও সন্দেহ নিরসন হয়নি পরিজনদের। তারা এরপর পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা জানায়। তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ ওই নাবালককে জেরা শুরু করে। একসময় ভেঙে পড়ে সে। স্বীকার করে নেয় তরুণীকে বিক্রি করে দিয়েছে সে। এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় সে তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দিয়েছে বলে স্বীকার করে নেয়। এর সঙ্গেই সে জানায় তার দামি স্মার্ট ফোনের খুব শখ। স্ত্রীকে বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে তার কিছুটা অংশ দিয়ে সে স্মার্ট ফোন কিনেছে বলে জানায়। এতেই হতবাক তদন্তকারীরা। পুলিশ ওই নাবালককে গ্রেফতার করেছে ও তরুণীকে উদ্ধার করেছে। তবে বউ বিক্রি করে নাবালকের শখ মেটানোর ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে এলাকায়।