শতাব্দী প্রাচীন এক মসজিদ ভাঙার ঘটনার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকির প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছিল অল ইণ্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড৷ যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, তারা আদালতের নির্দেশ মেনেই একটি অবৈধ কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।এই তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেন উত্তরপ্রদেশ ওয়াকফ এবং সংখ্যালঘু কল্যাণ বোর্ডের মুখ্য সচিব বিএল মীনা। এই কমিটির প্রধান হতে পারেন ওয়াকফ এবং সংখ্যালঘু কল্যাণ বোর্ডের বিশেষ সচিব শিব কান্ত দ্বিবেদী। তাছাড়া সংখ্যালঘু কল্যাণ বোর্ডের লখনউ এবং অযোধ্যা অঞ্চলের ডেপুটি ডিরেক্টররা এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হতে পারেন।এর আগে অল ইণ্ডিয়া মুসলিম ল বোর্ডের তরফে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল, রাম সানেহি ঘাট তহসিল সংলগ্ন শতাব্দী প্রাচীন গরিব নওয়াজ মসজিদটি পুলিশের উপস্থিতিতে সোমবার রাতে কোনও আইনি ন্যায়বিচার ছাড়াই প্রশাসন কর্তৃক ভেঙে ফেলা হয়৷মসজিদ সম্পর্কিত কোনও বিরোধ ছিল না বলে জানা গিয়েছে৷ এটি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে তালিকাভুক্তও রয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডও এই ঘটনার নিন্দা করে এটিকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছে৷এদিকে, জেলাশাসক আদর্শ সিংহ এই নির্মাণকাজটির বর্ণনা দিয়ে বলেছিলেন যে, এই মসজিদটির আবাসিক অঞ্চলটি অবৈধ৷ জেলাশাসক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি নোটিস দিয়ে তাদের মালিকানার বিষয়ে মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সেখানে বসবাসকারীরা নোটিশ পাওয়ার পরে পালিয়ে যায়৷ এর ফলে ১৮ মার্চ তহসিল প্রশাসন এর দখল পায়৷ তিনি আরও বলেন, এপ্রিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে দায়ের হওয়া একটি আবেদনের শুনানি শেষে প্রমাণিত হয় যে এই নির্মাণটি অবৈধ৷