দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরি𒁏ষদ (এবিভিপি) এবং বাম সমর্থিত গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজে নির্বাচন কমিটির সদস্য বাছাই নিয়ে বিরোধের জেরে এই বিবাদ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং তা হিংসার রূপ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু পড়ুয়াকে সফদ༒রজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমি൲টির সদস্য নির্বাচনের জন্য স্কুল স্তরের সাধারণ সভা পরিচালনা করছღে জেএনইউ ছাত্র সংসদ (জেএনইউএসইউ)।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্য♔ক্তি লাঠি দিয়ে পড়ুয়াদের পেটাচ্ছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ꦑএক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের দিকে সাইকেল ছুড়ে মারছেন।
ঘটনার অন্যা👍ন্য ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করার সময় একদল লোককে ভিড় ও মারধর করছে।
নির্বাচন কমিটির সদস্য 🐬বাছাইকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জন্য উভয় গ্রুপ পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। একে অপরের বিরুꦚদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।
তিনি বলেন, আমরা উভয় পক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছি। দিল্লি পুলিশ ꧋জানিয়েছে, আহত তিনজনে🎉র কথা জানতে পেরেছে পুলিশ।
ভারℱতের কমিউনিস্ট পার্টি লিবারেশনের সঙ্গে যুক্ত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনটি আরও অভিযোগ করেছে যে এবিভিপি সদস্যরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিশানা করে♏ এবং নির্বিচারে মারধর করে।
তারা মুসলিম ছাত্রদের একঘরে করে ফেলে এবং যখনই কোনও মুসলিম ছাত্র෴ আসন্ন নির্বাচন কমিটিতে তাদের নাম প্রস্তাব করে তখন তারা বিরোধিতা করে। পড়ুয়াদের ভয় দেখিয়ে যৌনতাবাদী ও জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে তারা।
এবিভিপি জেএনইউ সভাপতি উমেশচন্দ্র আজমিরার অভিযোগ, জিবিএম চলাকালীন বামপন্থী ছাত্ররা নির্বাচন 🎐প্রক্রিয়ায় কারচুপির চেষ্টা করছিল। তাঁর দ🍰াবি, স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজের পড়ুয়াদের আপত্তি ওঠায় ৩-৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গোটা প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, জেএনইউ সভাপতি ঐশী ঘোষ এবং দানিশ (এআইএসএফ সদস্য) পরস্পরবিরোধী কথা বলেছেন। ছাত্ররা আপত্তি তুলেছিল... অবাধ ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়া🐠র মাধ্যমে নাম প্রকাশ, নাম প্রত্যাহার এবং বাছাই করার দাবি জানানো হচ্ছিল। এর মধ্যেই বাম ছাত্ররা হেনস্থা শুরু করে এবং 'দাফলি'কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাস🐠নের পক্ষ থেকে তাৎক্🎃ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এবং ঘটনার সময় আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাজনৈতিকভাবে উত্তেজিত ♏পরিবেশ এবং সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুতে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনের জড়িত থাকার জন্য পরিওচিত জেএনইউয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে এই ঘটনা উদ্বেগকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।
(পিটিআই ইনপুট সহ)