হাসপাতালের সেমিনার হল। চারদিকে নিরাপত্তা। প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছেন ওয়ার্ডে। সেখানে সাধারণত নিরাপদই বোধ করার কথা চিকিৎসকদের। কিন্তু তেমনটা হল না আরজি করে। ডিউটি সেরে ক্লান্ত হয়ে কিছুটা ঘুমিয়ে ছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। তাജঁকেই ধর্ষণ করে খুন। শিউরে উঠছে গোটা দেশ।
তবে এবার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও প্রতিষ্ঠানে কর্মস্থল যাতে মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত থাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে সাম্প🍸্রতিক অতীতে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের হিংসার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেক্ষেত্রে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজকে বলা হচ্ছে তারা যেন নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটা পলিসি তৈরি করেন। ওপিডি, ওয়ার্ড, হস্টেল সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে সেটা সুনিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। করিডর ও ক্য়াম্পাসের বিভিন্ন অংশে যাতে আলো থাকে তার ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। সমস্ত সংবেদনশীল এলাকায় সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।
২) পর্যাপ্ত সংখ্য়ক নিরাপত্তা রক্ষী (পুরুষ ও মহিলা) মোতায়েন করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। ওপিডি, ওয়ার্ড, লেবার রুম🐼 সহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে বলা হয়েছে।
৩) মেডিক্যাল পড়ুয়ার উপর কোনওভাবে হিংসার ঘটনা হলে সঙ্গে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚসঙ্গে তা পুলিশকে জানাতে হবে। পর্যাপ্ত তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। যে কোনও হিংসার ঘটনার পরে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কম🌌িশনে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই রিপোর্ট পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
এদিকে আরজি 𝕴করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এনিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি অন্য দুজনের সঙ্গে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলাম। সরকার একজনকে বলির পাঁঠা করে বাকিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। তবে এখন তারা আর সেই সুযোগ পাবে না। দোষীদের গ্রেফতার করা হবেই। তাদের শাস্তি দেওয়া হবে এবার। রাজ্য প্রশাসন একটি চিকিৎসকের জীবন রক্ষা করতে পারল না। এই ভয়াবহ অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হল। মহামান্য আদালত কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি আরজি কর মেড💮িক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষ সম্পর্কে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। রাজ্য প্রশাসনের প্রভাবশালীদের সহায়তায় যে নোংরা খেলা চলছিল তার পর্দাফাঁস হয়ে গিয়েছে। তবে এবার সিবিআই এই তদন্তভার নিয়েছে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে সিবিআইয়ের প্রতি। সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। একজন চিকিৎসকের জীবনকে ছিনিয়ে নেওয়া হল, একজন কন্যাকে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল। সত্যিটা বেরিয়ে আসুক।