কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে চিঠি লিখেছিলেন ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য। তাঁদের দাবি ছিল, মোদীর সামনে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলি যেন তুলে ধরেন বাইডেন। তবে হোয়াইট হাউজের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, মোদীকে ভারতেরဣ গণতন্ত্র নিয়ে কোনও 'জ্ঞান' দেবেন না বাইডেন। এই নিয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেন, 'আমাদের নিজেদেরও বহু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই আবহে আমরা অন্যদের লেকচার দেওয়ার পক্ষপাতী নই।' এর আগে একবার এনএনসি কোঅর্ডিনেটর জন কার্বিকেও ‘ভারতের গণতন্ত্র’ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক। সেই সময় জন কার্বি তাঁকে ভারতে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিত দেখে আসার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাইডেনের দলের ৭৫ জন সেনেটর এবং হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাঁর কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে মোদীর সঙ্গে আলোচনার সময় ভারতে র্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি উত্থাপিত করা হয়। এই নিয়ে গত মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে একটি চিঠি লেখেন মার্কিন আইন প্রণেতারা। হাউজ রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রমীলা জয়পাল এবং ডেমোক্র্যাট সেনেটর ক্রিস ভ্যান হলেনের নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠীর লেখা চিঠিতে বলা হয়, 'ভারতের কোনও নির্দিষ্ট দল বা নেতাকে আমরা সমর্থন করি না। সেটা বেছে নেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় জনগণের। তবে ﷽আমেরিকার বিদেশ নীতির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলির সমর্থন করি আমরা। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় যেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়গুলি তাঁর সামনে তুলে ধরেন। দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতাদের চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, 'বহু নিরপেক্ষ রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, ভারতের রাজনৈতিক পরিসর ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। সেখা🌊নে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। সামাজিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। বন্ধু হলে উদ্বেগের বিষয়গুলি তুলে ধরা উচিত সামনের জনের কাছে।'
এদিকে মোদীর মার্কিন সফরের সময় আমেরিকার বহু মানবাধিকার গোষ্ঠী প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করছে। আমেরিকার দুই ডেমোক্র্যাট তথা মুসলিম আইন প্রণেতা জানিয়ে দিলেন যে তাঁরা মোদীর ভাষণ শুনতে কংগ্রেসে উপস্থিত হবেন না। মোদীর ভাষণ বয়কটের ডাক দেওয়া কংগ্রেস সদস্যের মধ্যে অন্যতম হলেন ইলহান ওমর। এক টুইট বার্তায় ইলহান লিখেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দমন করেছে। হিংসাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে উৎসাহিত করেছে। এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের আক্রমণ করেছে। আমি মোদীর ভাষণে যোগ দেব না। মোদীর দমন-পীড়ন ও সহিংসতার রেকর্ড নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমি মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির সাথে🐼 একটি ব্রিফিংয়ে অংশ নেব সেই সময়।' প্রসঙ্গত, এই ইলহান এর আগে পাকিস্তান সফরকালে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও। তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে 'আজাদ' বলেও সম্বোধন করেছিলেন। আর এবার তিনি জানান, তিনি মোদীর ভাষণ বয়কট করবেন।