১৯৩৪ সালের ১৫ই জানুয়ারি। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল উত্তর বিহার ও নেপালের একাংশ। প্রায় ১০ হাজার মানুষের জীবনহানি হয়েছিল সেই ভূমিকম্পে। কোশী ও কমলার মধ্য়ে রেল যোগাযোগও পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে যায় সেই ভূমিকম্পে। ৮৬ বছর আগে ভেঙে যাওয়া সেই রেললাইনে ফের যোগসূত্র টানার উদ্যোগ নিল দফতর। আগামী বছরই কোশী ও কমলার মধ্যে রেল যোগাযোগ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে। হয়তো সেই সময়কার খুব কম সংখ্য়ক মানুষই জীবিত আছেন। তবে ফের দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগের উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। শুক্রবার আসানপুর কুফা ও নির্মালি মধ্যে ট্রেন যোগাযোগের মহড়া হয়েছে। প্রায় ৮ দশক পরে এই পথে গড়াবে রেলের চাকা। ব্রডগেজ রেললাইন পাতার কাজও অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। গত প্রায় ১ মাস ধরে রেলের আধিরাকিরাও এনিয়ে ব্য়পক তৎপর হয়েছিলেন। সমস্তিপুরের ডিআরএম অলোক আগরওয়াল বলেন, ট্রায়াল সফল হয়েছে। আমাদের আশা শীঘ্রই রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা যাবে। রেলের পদস্থ আধিকারিকরা এই রেলের ট্রায়ালে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ২০০৩ সালের ৬ই জুন কোশী নদীর উপর সেতু তৈরির ব্যাপারে শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। বর্তমানে সেই মহাসেতু তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়ে যাবে। রেল সূত্রে খবর ১৮৮৭ সালে এই রুটে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। তবে ১৯৩৪ সালের ভূমিকম্পে সব বিপর্যস্ত হয়ে যায়।