আগে যা ছিল ‘জি ২৩’, বর্তমানে তাই হয়েছে ‘জি ১৮’। কংগ্রেসের এই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী সদস্য হারালেও তাঁদের প্রত্যয়ে কোনও ঘাটতি নেই। এই আবহে গতকালই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে বৈঠকে বসেন কপিল সিব্বল, আনন্দ শর্মা, শশী থারুররা। জানা গিয়েছে এই বৈঠকে উঠে আসা দাবি এবং ‘পরামর্শ’ নিয়ে কংগ্রেসের অন্তরবর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন গুলাম নবি খোদ। সূত্রের খবর, সেই বৈছকে উপস্থিত থাকতে পারেন রাহুল গান্ღধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
দলের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসেন জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা। কপিল সিব্বল, আনন্দ শর্মা, মণীশ তেওয়ারি, শশী থারুর এবং আরও অনেক নেতা রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলীয় নেতা গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে অন🌺ুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, সোনিয়ার সঙ্গে গুলাম নবি বৈঠকে বসতে পারেন বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সেখানে💟 উপস্থিত থাকতে পারেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের কর্মশৈলী নিয়ে জি-২৩ নেতাদের অসন্তোষের মধ্যে গান্ধী পরিবারের সাথে আজাদের এই বৈঠক হলে তা অতি তাৎপর্যপূর্ণ হবে। আজাদ দলীয় হাইকমান্ডের কাছে জি-২৩ সদস্যদের চূড়ান্ত প্রস্তাব পেশ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আজাদের বৈঠকের পরই জি-২৩-র ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে।
বৈছক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে কংগ্রেসের ‘বিক্ষোব্ধ’ নেতারা বলেন, ‘দলে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ন🅘েতৃত্ব চাই।’ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর ছিল ১৮ বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার। বিবৃতিতে লেখা, ‘আণরা কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য এদিন বৈঠক করে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভায় কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে আলোচনা করি। পাশাপাশি ক্রমেই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে বহু নেতা-কর্মী, সেই নিয়েও আলোচনা হয়। আমরা বিশ্বাস করি কংগ্রেসকে এগিয়ে যেতে হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্বের নীতি গ্রহণ করতে হবে। ২০২৪ সালে বিজেপিকে ঠেকাতে হলে আমকা চাই যাতে কংগ্রেস সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে কথা বলে। পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই ঘোষিত হবে।’