ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। ওদিকে বিগত প্রায় ৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় সংঘর্ষে লিপ্ত ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েল থেকে গাজা ভূখণ্ডে যাদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের সবাইকে এখনও ফেরানো যায়নি। এই আবহে নিজেদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধেই পথে নামলেন কয়েক হাজার ইজরায়েলি। দ্য টাইমস অফ ইজরায়েলের রিপোর্ট অনুযায়ী, তেল অভভি, জেরুসালেম সহ ইজরায়েলের একাধির শহরে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ পথে নেমেছেন তাদেরই দেশের সরকারের বিরুদ্ধে। গাজা ভূখণ্ডে এখনও আটকে থাকা ইজরায়েলিদের মুক্তি এবং নয়া নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদীরা। ইজরায়েলের চ্যানেল ১৩-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, তেল অভিভেই ৪৫ হাজার মানুষ প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন। এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, এক লাখ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে তেল অভিভের পথে নেমেছিলেন। দাবি করা হচ্ছে, এখনও ১৩৩ জন ইজরায়েলি বন্দি আটকে আছেন গাজায়। উল্লেখ্য, প্রতি সপ্তাহেই সরকার বিরোধী এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে তেল অভিভ সহ একাধিক জায়গায়। (আরও পড়ুন: ﷺইজরায়েলে হামলা চালিয়ে দিল ইরান, ভোর হতে না হতেই শোনা গেল পরপর বিস্ফোরণ)
🔯উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে আচমকাই ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শ'য়ে শ'য়ে ইজরায়েলিকে খুন করে হামাস জঙ্গিরা। শতাধিক সাধারণ নাগরিক এবং বিদেশিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় হামাস। জবাবে গাজায় গোলাবর্ষণ শুরু করে ইজরায়েল। পরে গাজায় প্রবেশ করে ইজরায়েলি সেনা। সেই সংঘর্ষ এখনও জারি রয়েছে। এরই মাঝে বন্দি মুক্তির কাজ চলছে। বেশ কয়েক দফায় অনেক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইজরায়েলও অনেক প্যালেস্তিনীয়কে ছেড়ে দিয়েছে এর বদলে। তবে যুদ্ধ থামেনি। রক্ত ঝরে চলেছে গাজার মাটিতে।
🐽গতবছর ৭ অক্টোবর সকাল সকাল হাজার হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্তের বেড়া কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরায়েলও পালটা জবাবি হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ। কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে তাতে। গাজায় যা পরিস্থিতি, তাতে আইসক্রিম ট্রাকগুলি চলমান মর্গে পরিণত হয়। গাজায় ২৩ লাখের বাস। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্যালেস্তাইন অথোরিটির থেকে গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতা জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল হামাস। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয় তাদের সেই সরকার। তবে আক্ষরিক অর্থে গাজার প্রশাসন তাদেরই হাতে। আর এই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল।
♕হামাসের সঙ্গে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধে নাম লিখিয়েছে ইয়েমেনের জঙ্গি গোষ্ঠী হুথি। ইরানের সাহায্য প্রাপ্ত এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই। এরই মাঝে ইয়েমেনের এই গোষ্ঠী লোহিত সাগরে একাধিক পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালিয়েছে। এই সবের মাঝেই আবার আজ ইরান সরাসরি হামলা চালিয়ে দিল ইরানের ওপরে।