আত্মনির্ভর ভারতে বামপন্থী উগ্রবাদী আদর্শের কোনও জায়গা নেই বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে অমিত শাহ বলেন, ‘মোদী সরকার বামপন্থী উগ্রবাদেরকে কোনও ভাবে সহ্য করবে না। এই নিয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।’ বামপন্থী উগ্রবাদকে মোকাবিলায় যে নীতি গ্রহণ করেছে, তাতে তিনটি স্তম্ভ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেগুলি হল - কৌশলগত ও নির্মম ভাবে হিংসা দমন, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি এবং উন্নয়নে জনসাধারণের অংশগ্রহণ। শাহের কথায়, মাওবাদী উপদ্রব আটকাতে তাদের অর্থ সরবরাহ আটকাতে হবে। (আরও পড়ুন: স্থায়ী আমানতকারীদের মুখে ফুটবꦆে হাসি, মধ্যবিত্তের চিন্তা বা▨ড়িয়ে চড়বে EMI)
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে উগ্র বামপন্থীদের হামলায় মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে কমে এসে ঠেকেছে। ২০১০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ৭৬ শতাংশ বামপন্থী কট্টরপন্থীদের হামলায় প্রাণনাশের ঘটনা। এদিকে আগে যেখানে দেশের ৯০টি জেলায় বামপন্থী উগ্রপন্থার প্রভাব ছিল, তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বামপন্থী উগ্রবাদী সংগঠন যাতে কোনওরকম আর্থিক সাহায্য না পায়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করবে তাঁর মন্ত্রক। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা জোর𒁏দার করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন শাহ। এর জেরে বিএসএফ এয়ার উইং নতুন বিমানচালক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করার ঘোষণা করেছেন শাহ। এদিকে মাওবাদীদের খতম করার ইস্যুতে শাহ জানান, রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধে উঠে প্রতিটি রাজ্যকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র।
সরকারি সূত্রের দাবি, গত কয়েক বছরে দেশে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা আগের থেকে কমলেও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। কমেছে মাওবাদীদের হাতে মৃত্যুর ঘটনাও। এবার মাওবাদীদের কার্যকলাপ পুরোপুরি প্রতিহত করতে সব রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায় কেন্দ্র। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ছত্তিশগড়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, ২০২৪ সালের ভোটের🐟 আগে দেশকে মাওবাদী মুক্ত করা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। জনসভা থেকে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, ২০০৯ সালে কংগ্রেসের জমানায় মাওবাদী হামলার সংখ্যা ছিল ২২৫৮টি। ২০২১ সালে সেটি কমে দাঁড়ায় ৫০৯টিতে। অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, যারা হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছিলেন তাদের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।