কথা ছিল চিন ও ভারত দুপক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নেবে। সꦚেই সঙ্গেই অস্থায়ী কাঠামো যেগুলি সেনাদের অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য করা হয়েছিল সেগুলিও সরানো হবে। আগামী ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্য়ে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেনা সরানোর কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
যেমন কথা তেমন কাজ। উপগ্রহচিত্র্রের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে দুদেশই নির্দিষ্ট কথা মেনেই সেনা সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে সেই সেনা সরানোর ছবি ধরা পড়েছে। দুটি মূল জায়গাকে সেনা সরানোর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। ডেপসাং ও ডেমচক। এই দুটি জায়গা থেকে সেনা সরানোর কথা ছিল। সেই মতো সেই উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে যে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সেনা সরানোর কাজ চলছে। 🔴
কী কী দেখা গিয়েছে এই উপগ্রহচিত্রে?
সূত্রের খবর গত ৭ অগস্ট উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছিল যে ডেপসাং এলাকায় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। এবারের উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, ডেপসাং এলাকায় যে বড় অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ সেনা সরানোর প্রক্রিয়া অনেকটাই সম্পন্ন করে ফেলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই ডেপসাং এলাকায় সেনা ছাউনির সামনে সেনা🎉র বহু গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকত। উপগ্রহচিত্রে সেগুলি আর দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে সেই সব গাড়িও।দক্ষিণ ডেমচক এলাকা থেকেও সেনা ছাউনি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অর্থাৎ সেখানেও অস্থায়ী সেনা থাকার মতো পরিকাঠামো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত অনুসারেই দুদেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু করে দিল। মূলত ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে 💖যেমন পরিস্থিতি ছিল সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা।
সেনা সরানো প্রসঙ্গে পুনেতে একটি অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছন গিয়েছে ঠিকই তবে দুদেশের সম্পর্ক সౠ্🍌বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।
এদিকে সম্প্রতি রাশিয়ায় যখন ব্রিকস সামিট হয়েছিল তখনই তার সাইডলাইনে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলোচনায় বসেছিলেন। তখনই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার নির্দিষ্ট স্থান থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে কথা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তারপরই কাজে নেমে পড়ল ♎দুদেশের সেনা বাহিনী।