বিশ্ব কল্যাণ পুরকায়স্থগুয়াহাটির নারেঙ্গি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হাতির হানায় এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু। শনিবার সন্ধ্যার ঘটনা। সূত্রের খবর, ওই সময় সেনা ছাউনিতে ডিউটিতে ছিলেন ওই জওয়ান। সেই সময় হাতিটি আচমকাই ঢুকে পড়ে। ওই সেনাকর্মীকে একেবারে পিষে দেয় হাতিটি। এক আধিকারিক এমনটাই জানিয়েছেন।ওই মৃত জওয়ানের নাম খামলিয়ং খা। তাঁর বাড়ি নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। তিনি অসমে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পরেই তাকে আর্মির বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।গুয়াহাটির পূর্ব দিকে এই ক্য়ান্টনমেন্টটির অবস্থান। আমচাং অভয়ারন্য়ের কাছেই এই ক্য়ান্টনমেন্ট। এই এলাকাটি একটা সময় জঙ্গলের অংশ ছিল। এটি হাতির করিডর হিসাবেই পরিচিত। সেখানেই আচমকা হাতির হানা।তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে খাবারের খোঁজে অভয়ারণ্য় থেকে হাতির দল বেরিয়ে পড়ে। অতীতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হাতির দেখা মিলেছিল। কিন্তু তারা জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছে এমনটা এতদিন শোনা যায়নি। তবে এবার একেবারে জওয়ানের উপর হামলা চালাল হাতি। এরপর তাঁর মর্মান্তিক পরিণতি।এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এদিকে অসমের পাশাপাশি বাংলাতেও হাতির তাণ্ডব। হুগলি জেলার আরামবাগে হাতির ভয়াবহ তাণ্ডব। হাড়হিম পরিস্থিতি। রাতের ঘুম চলে গিয়েছে বাসিন্দাদের। আরামবাগের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার ভোরে প্রথমে হাতিটিকে দেখা যায়। পরে খবর পেয়ে সেখানে যান বন বিভাগের কর্মী এবং পুলিশ। হাতি দেখতে মানুষের ভিড় হওয়ায় পুলিশের তরফে মাইকিং করে হাতির কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাতি তাড়ানোর জন্য চলে আসে হুলা পার্টি। তারপরে একের পর এক ঘটনা। এভাবে শহরের মধ্য়ে হাতি ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে তা যেন নিজের চোখে দেখেও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে অনেকের কাছে।সূত্রের খবর, দুপুরের দিকে হাতি চলে আসে চার নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে ব্যবসায়ী মিলন খটিক হাতিকে প্রণাম করতে গেলে শুঁড়ে তুলে আছড়ে ফেলে দেয়। পাশাপাশি দাঁত দিয়েও আঘাত করে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এছাড়াও, অপু জনা নামে হুলা পার্টির এক সদস্য হাতির তাড়া খেয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। মূল শহরে ঢুকে পড়ে বাজারেও তাণ্ডব চালাতে শুরু করে হাতিটি।