সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর পাকিস্তানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা বেড়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের রাজ্যগুলিকে এই সংক্রান্ত সতর্কবার্তা পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাশাপাশি গোয়েন্দা রিপোর্টের উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ভারতের মুসলিম যুবকদের মগজধোলাইয়ের ঘটনা যেভাবে বেড়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র।ভারতের ভিতর ও বাইরে থেকে উদ্ভূত হামলার আশঙ্কার কারণে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে রাজ্যগুলিকে বিশেষ সতর্কতা জারি করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোটে। মূলত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-আফগানিস্তান অঞ্চল থেকে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তার জেরে সামগ্রিকভাবে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অভিযোগ, পাকিস্তানের মাটি থেকে সক্রিয় জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পরিকাঠামোগত ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করছে ইসলামাবাদ। নোটে বলা হয়েছে, 'গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার যে ওই জঙ্গি সংগঠনগুলি ভারতের মাটিতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের ক্যাডারদের অবৈধভাবে ভারতে ঢুকিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিশিষ্টজনদের টার্গেটের পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির।'ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলি শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের মাটিও ব্যবহার করার ইঙ্গিতও রয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে। নোটে বলা হয়েছে, 'সমুদ্রপথ ব্যবহার করে তামিলনাড়ু ও কেরলের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবেশের বিষয়েও গোয়েন্দা সতর্কতা রয়েছে। তাই সীমান্তবর্তী ও উপকূলীয় এলাকায় বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন।'ভারতীয় মুসলিম যুবকদের মগজধোলাই নিয়েও উদ্বিগ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যেভাবে দেশের মধ্যে আইএস, আল-কায়দার মতো সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগ থাকা একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়েছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের। নোটে বলা হয়েছে, '(ওই জঙ্গি সংগঠনগুলির প্রতি) সমর্থন যে বাড়ছে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছে একাধিক গ্রেফতারি।' ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, সিমি, শিখ জঙ্গি সংগঠন, উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদকারী ও মাওবাদীদের জন্য দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নোটে বলা হয়েছে, 'অস্ত্র ও প্রযুক্তিগত সাহায্যের ক্ষেত্রে দেশের মাটিতে গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন ও পাকিস্তানের বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে যোগসূত্র তৈরির রিপোর্ট রয়েছে। এর ফলে সন্ত্রাসবাদের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে।'সেজন্য প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দেশজুড়ে কতা সতর্কতা জারি হয়েছে। সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাস, বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুরক্ষা বাহিনীকে মোতায়েন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।