বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অরবিন্দ কেজরিওꦉয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় সদ্য বৃহস্পতিবার তিনি গ্রেফতার হন। এরপরই শুক্রবার তাঁকে দিল্লির রউস খাস কোর্ট ২৮ মার্চ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল শিবিরের দাবি, গ্রেফতারি ও রিমান্ড দুটিই বেআইনি। আর♑ সেই দাবি তুলে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে কেজরিওয়াল শিবির এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ।
শুক্রবারের কোর্টের নির্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডির হেফাজত দেওয়া হয়। তারপরই শনিবার কেজরিওয়াল দ্বারস্থ হন দিল্লি হাইকোর্টের। কেজরিওয়াল শিবিরের আইন সংক্রান্ত টিমের আর্জি, রবিবার ২৪ মার্চ জরুরি ভিত্তিতে য🌜াতে এই মামলার শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টে। প্রসঙ্গত, ২৫ মার্চ হোলি রয়েছে। এদিকে, এই আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির দাবি ছিল যে, আর্থিক তছরুপের মামলায় কেজরিওয়াল সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। সেই দাবিতে টিকে থেকে ইডি কেজরিওয়ালের ১০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল শুক্রবার। ইডির দাবির পর শুক্রবার দিল্লির ট্রায়াল কোর্টে কেজরিওয়ালকে ৬ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কোর্টের নির্দেশের পরই সাংবাদিকরা কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি কি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন? কেজরির সাফ জবাব ছিল, ‘প্রয়োজনে জেল থেকে সরকার চালাব।’ তবে তিনি স্পষ্ট জানಌান, ‘মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেব না।' এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল বিস্ফোরক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘মোদীর ক্ষমতার অহংকার গ্রেফতার করিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে’। এরপর শনিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেল থেকে পাঠানো এক বার্তা জনতা ও আম আদমি পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে পড়ে শোনান সুনীতা। সেখানে কেজরিওয়াল আবেদন করেন আপ সমর্থকদের, যাতে তাঁরা ‘বিজেপি কর্মীদের ঘৃণা না করেন। তাঁরা আমাদেরও ভাই বোন।’ কেজরিওয়াল দাবি করেন, তিনি জেল থেকে খুব শিগগ🌌িরই বের হবেন। প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে, আম আদমি পার্টির প্রধানের গ্রেফতারি পার্টির জন্য একটি তাবড় ধাক্কা। ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লির রাস্তায় নামেন পার্টির প্রথমসারির নেতা মন্ত্রী, ভাগবন্ত মান, সৌরভ ভরদ্বাজ, অতশীরা। এরই মাঝে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেজরিওয়াল। এদিকে, ভোটের মুখে দলীয় প্রধানের এভাবে গ্রেফতারি ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে আম আদমি পার্টি।