যে রানওয়ে থেকে একটি বিমান টেক-অফ করছিল, সেখানেই অবতরণ করছিল অপর একটি বিমান। দুটি বিমানের মধ্যে দূরত্বও তেমন বেশি ছিল না। যেটুকু দূরত্ব ছিল, সেই পথটুকু চোখের পলকেই পেরিয়ে যায় বিমান। আর এমনই ভয়ংকর ঘটনা ঘটল মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। শেষপর্যন্ত কোনও বিপদ না হলেও ওই ঘটনার পরিণতি যে কতটা মারাত্মক হতে পারত, সেটা ভেবেই শিউরে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টরেট অফ সিভিল অ্যাܫভিয়েশন (ডিজিসিএ)। সেইসঙ্গে মুম্বই বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে (এটিসি) থাকা অফিসারদের আপাতত বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে রোস্টার থেকꦦে।
কোন কোন বিমান ছিল?
ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (মুম্বই বিমানবন্দর) দু'জন আধিকারিক জানিয়েছেন যে শনিবার সেই ঘটনা ঘটেছে। যে রানওয়েতে ইন্ডিগোর বিমান নামছিল, সেখান থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান টেক-অফ করছিল। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে মুম্বই বিমানবন্দরের ২৭ নম্বর রানওয়ে থেকে উঠছে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ৬৫৭ বিমান। আর ঠিক সেইসময় ওই রানওয়েতে ইন্ডিগোর ৬ই ৬০৫৩ বিমান নামছে। ইন্ডিগোর বিমানের চাকা যখন রানও𝓡য়ে ছুঁয়েছে, ঠিক তখনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি রানওয়ে ছেড়ে উঠে গিয়েছে।
সেই ঘটনা নিয়ে ইন্ডিগো কী বলছে?
সেই ঘটনা নিয়ে ইন্ডিগোর এক মুখপাত্র বলেছেন, 'গত ৮ জুন ইন্দোর থেকে আগত ইন্ডিগোর ৬ই ৬০৫৩ বিমানকে ম🌃ুম্বই বিমানবন্দরে নামার ছাড়পত্র দিয়েছিল এটিসি। এটিসির নির্দেশ মেনেই এগিয়ে যেতে থাকেন পাইলট এবং এটিসির নির্দেশ মতোই অবতরণ করেন। ইন্ডিগোর কাছে যাত্রীদের সুরক্ষা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়ম মেনে আমরা সেই ঘটনা🍌 নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছি।'
ওই ঘটনা নিয়ে কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া?
এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র বলেছেন, 'মুম্বই থেকে ত্রিবান্দ্রমগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি টেক-অফ করছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে রানওয়েতে ঢোকার অনুমতি দিয়💫েছিল এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল। তারপর টেক-অফের ছাড়পত্র দিয়েছিল। যা নিয়ম আছে, সে𓆏ইমতো টেক-অফের জন্য বিমানকে নিয়ে যেতে থাকেন পাইলট। উড়ান সংস্থাকে যে টেক-অফের ছাড়পত্র দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।'
কোথায় গলদ হয়ে থাকতে পারে?
নাম গোপন☂ রাখার শর্তে এক প্রাক্তন পাইলট জানিয়েছেন, যখন কোনও বিমান টেক-অফের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে, তখন সেই বিমানটি উড়ে যাচ্ছে বলে বিবেচনা করে এটিসি। সেইসময় যে বিমানটি টেক-অফ করছে, সেটিকে যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে যেতে হয়। আর কম গতিতে নিয়ে আসতে হয় অবতরণ করতে থাকা বিমানকে। যাতে দুটি বিমানের মধ্যে ꩵপর্যাপ্ত দূরত্ব থাকে।