গুগল ম্য়াপে ভরসা করে ঘোর🦩 বিপাকে পড়তে হল অসম পুলিশের একটি তদন্ত𝓡কারী প্রতিনিধি দলকে। অপরাধী পাকড়াও করতে গিয়ে উলটে তাঁদেরই 'পাবলিকের মার' খেতে হল! ঘটনাটি ঘটেছে নাগাল্য়ান্ডে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি তদন্তের কাজে বেরিয়েছিল অসম পু𒀰লিশের ১৬ জন সদস্যের একটি দল। রাস্তা🅺 চেনা ছিল না। তাই গুগল ম্য়াপে ভরসা রেখে এগিয়েছিলেন তাঁরা।
আর এভাবেই তাঁরা পৌঁছে যান নাগাল্যান্ড! বলা বাহুল্য, সেটা মোটেই তাঁদের আসল গন্তব্য ছিল না। এদিকে, 'বেপাড়ার লোক' দেখে সাবধান হয়ে যান নাগাল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। হঠাৎ করে এলাকায় এতজন উট𒀰কো মুষকো লোককে দেখে তাঁদের ধারণা হয়, এঁরা নিশ্চয় 🐓পাক্কা শয়তান!
আর কী? এরপরই শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি! অপরাধী ধরতে🉐 গিয়ে শেষমেশ 'অপরাধী' হয়ে যꦍান অসম পুলিশেরই ওই ১৬ জন তদন্তকারী আধিকারিক!
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে। নাগাল্য়😼ান্ডের মোকোকচুং জেলায়। পরবর্তীতে জানা যায়, এক অপরাধীকে ধরতে অভিযানে বেরিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়াতেই এত কাণ্ড ঘটে যায়!
আসলে নাগাল্যান্ডের স্থানীয় বাসিন্দা💟রা তাঁদের চিনতে ভুল করেন, কারণ - অসম পুলিশের ওই কর্মীরা অধিকাংশই সাধারণ পোশাক পর🌌েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের কাছে অস্ত্র ছিল।
এবﷺার রাতের অন্ধকারে যদি কেউ অচেনা লোকজনকে অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঢুকতে দেখেন, তাহলে আগন্তুকদের অপরাধী বলে ভুল হওয়াটা খ𝄹ুব একটা অস্বাভাবিক নয়।
এদিকে, ঘটনার খবর কানে যেতেই সেখানে এসে পৌঁছয় নাগাল্য়ান্ডের পুলিশ। ত♓ারাই অসম পুলিশের ওই আক্রান্ত ১৬ জনকে পর্যায়ক্রমে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক পুলিশ আধিকারিক জানান, আক্রান্তরা গুগল ম্যাপ দেখে এগোচ্ছিলেন। সেখানে একটি চা বাগান দেখাচ্ছিল। যেটা কিনা অসমেই অবস্থিত। অথচ, আসলে সেটি ছিল ভুল লোকেশন! যা দেখে এগোতে গিয়ে তাঁরা ভুলবশত অসমেরဣ সীমানা পেরিয়ে নাগাল্য়ান্ডে ঢুকে পড়েন।
এক পুলিশ আধিকার🐈িককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই লিখেছে, 'ওই ১৬ জন পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকের মধ্যে মাত্র তিনজন পুলিশের ইউনিফর্ম পরেছিলেন। বাকিরা সাধারণ🎀 পোশাক পরেছিলেন। এর ফলে বিভ্রান্তি আরও বাড়ে।'
এরপর এই ঘটনার খবর অসম পুলিশের পক্ষ থেকে নাগাল্য়ান্ড পুলিশকে দেওয়🐈া হয়। সেখান থেকে খবর 🌳যায় স্থানীয় থানায়। তখনই অসম থেকে ঢুকে পড়া পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করতে ছুটে যান নাগাল্য়ান্ডের পুলিশকর্মীরা। তাঁদের হস্তক্ষেপে এ যাত্রা রক্ষা পান আক্রান্তরা।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা যখন বুঝতে পারেন, তাঁরা যাঁদের মারধর করে আটকে রেখেছেন, তাঁরা আসলে পুলিশ, তখনই তাঁরা তাঁদের ছাড়তে রাজি হন। যদিও এক๊েবারেই পুরোটা মানতে চাননি তাঁরা। তাই মঙ্গলবার রাতে অসম পুলিশের পাঁচ সদস্যকে ছাড়েন তাঁরা। বুধবার সকালে বাকি ১১ জন ছাড়া হয়।