বইমেলা চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তানে ইরানের রাষ্ট্রদূত। সেই সময় কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকবাজদের হামলায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৯ জনের। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২২। হতাহতের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া। আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক আত্মঘাতী হামলাকারী। তারপর দু'জন গুলি চালাতে শুরু করে। আচমকা গুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। আহমেদ শামিম নামে এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, হামলাকারীদের হাতে বন্দুক ও কাসাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বদিকে সেই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানে আইন ও সাংবাদিকতা পড়ানো হয়। যে বিশ্ববিদ্যালয় আফগানিস্তানের সবথেকে পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আপাতত ১৭,০০০ পড়ুয়া আছেন।আফগান সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও আরও কয়েকজন অতিথি হাজির ছিলেন। তবে তাঁদের কেউ হতাহত হয়নি বলে খবর। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, কয়েক ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পর বন্দুকবাজদের হত্যা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে আর কোনও হামলাকারী নেই বলে জানিয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সঙ্গে ছিল মার্কিন সেনাও।প্রাথমিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। তবে বিবৃতি জারি করে তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, হামলার ঘটনায় তাদের হাত নেই। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আইসিসও হামলা চালাতে পারে। যে জঙ্গি সংগঠন সপ্তাহদুয়েক আগেই কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল। গত ২৪ অক্টোবরের সেই ঘটনায় কমপক্ষে ২৪ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ১০০ জন।তবে তারইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে বন্দুক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষাবেষ্টনী অতিক্রম করল হামলাকারীরা, তা নিয়ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।