মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের মা🐈ধ্যমে মহিলাদের প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। আর তফশিলি জাতি উপজাতিদের দেওয়া হয় ১২০০ টাকা করে। এবার সেই প্রকল্প নিয়ে উঠল গুরুতর অভিযোগ। গত কয়েক মাস ধরেই নাকি কয়েকশো মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। আর তা নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মহিলাদের কপালে।
আরও পড়ুন: ‘সত্যি সাহস আছে’, মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপা൲ধ্য়♉ায়কে তোপ অরিত্রর
অভিযোগ উঠেছে, তমলুক শহরের প্রায় ৩৫০ জন মহিলা নাকি গত ৬ মাস ধরে লক্ষ্ম𓆏ী ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না। জানা যাচ্ছে, এই শহরে ১৬ হাজার মহিলার নাম লক্ষ💙্মী ভাণ্ডার প্রকল্পে নথিভুক্ত রয়েছে। তবে এই ৩৫০ জন মহিলা লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা না পাওয়ায় দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এ নিয়ে তারা ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে পুরসভার কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। পুরসভার তরফে এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
পুরসভায় লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাꦡপ্ত এক আধিকারিক জানান, খোঁজখবর নিয়ে দেখা গিয়েছে, এই মহিলাদের নাম উপভোক্তা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই গত মে মাস থেকে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না। যদিও কী কারণে তাদের নাম বাতিল করা হয়েছে? সেই বিষয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।তবে তারা যাতে পুনরায় লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা পান তার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তাদের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তাদের আবেদন গৃহীত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর মাস থেকে তারা টাকা পাবেন।তবে মহিলারা যে ৬ মাস টাকা পাননি সেই টাকা ডিসেম্বরে তাদের একসঙ্গে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। উল্লেখ্য ওই ৩৫০ জন মহিলার অধিকাংশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে। মহিলারা জানান, লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধির ♌পর থেকেই তারা আর এই অর্থ পাননি। তারপরেই কাউন্সিলর, পুরপ্রধান ﷽এবং ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবিষয়ে তমলুকের পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় জানান, মহিলারা যাতে টাকা পান তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই মহিলারা যাতে দ্রুত টাকা পান তার চেষ্টা করা হচ্ছে।