মহারাষ্ট্রে বাব𒁃া সিদ্দিকীর হত্যা সারা দেশে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। কড়া নিরাপত্তা এড়িয়েও কীভাবে খুন হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানু♌ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাবা সিদ্দিকী ১২ অক্টোবর বান্দ্রায় ছেলে জিসানের অফিসের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর শনিবার গভীর রাতে লীলাবতী হাসপাতালে মৃত্যু হয় জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর এই প্রভাবশালী সদস্যের।
উল্লেখ্য, বাবা সিদ্দিকী হত্যার ১৫ দিন আগে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপর তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয় 'ওয়াই' ক্যাটাগরিতে। মূলত, ভারতে, প্রাণনাশের হুমকির ধরন দেখে এক্স থেকে জেড💯 প্লাস নিরাপত্তা রেঞ্জ দেওয়া হয়। যেমন, অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথের মতো হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা জে💟ড প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য আবার বিশেষ এসপিজি দল মোতায়েন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Vasundhara Oswal: বিচার ছাড়াই উগান্ডার জেꦉলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতির মেয়ে, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বাবার)
এক্স, ওয়াই, জেড, নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি কী
ওয়াই ক্যাটাগরি, ভারতে প্রদত্ত সুরক্ষা কভারেজের বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরি মধ্যে অন্যতম। নির্বাচিত কয়েকজন বিশেষ ব্যক্তির প্রাণনাশের কিংবা কোনও বিপদের আশঙ্কার ভিত্তিতে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিই সাধারণত কোনও ব্যক্তির কতটা নিরাপত্তা প্রয়োজন, তার সিদ্🅠ধান্ত নেয়।
যেমন, সিদ্দিকির হত্যার পর সলমান খানেরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই সরকারের কাছ থেকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা পেয়েছেন। এরই সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ন🔜িরাপত্তা দলও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের রিপোর্ট অনুসারে, প্রয়োজন অনুযায়ী নিরাপত🍸্তা ক্যাটাগরিগুলো হল, এক্স, ওয়াই, ওয়াই-প্লাস, জেড, জেড-প্লাস এবং স্পেশাল 🍬প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)।
এসপিজি ক্যাটাগরির নিরাপত্তা কেমন হয়
স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি), ভারতের একটি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেয় এসপিজি। এই দলে ৩,০০০ নিরাপত্তা কর্মী এবং প্রশিক্ষিত কুকুর থাকেꩲ। ১৯৮৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে ভারতের সংসদের আইন এই গ্রুপকে বৈধ ঘোষণা করে। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীর হত্যার পর, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসপিজি সুরক্ষা পেয়েছিলেন। যাইহোক, এসপিজি আইনে ২০১৯ সংশোধনীর পরে, এই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা কেবলমাত্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর নিকটবর্ত🍨ী পরিবারের জন্যই সীমাবদ্ধ।
জেড-প্লাস
এসপিজির পর নিরাপত্তার পরবর্তী স্তর হল জেড-প্লাস ক্যাটাগরি, যা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা বা অন্যান্য ভিআইপিদের জন্য নির্ধারিত। জেড-প্লাস নিরাপত্তায়, একজন ব্যক্তিকে সিআরপিএফ কমান্ডো সহ কমপক্ষে ৫৫ জন কর্মী ঘিরে রাখেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, প্রয়োজন হলে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) কমান্ডোরাও অতিরিক্💫ত নিরাপত্তা দিতে পারেন। নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই স্তরে বুলেটপ্রুফ যানবাহন এবং তিন শিফটে এসকর্টও মোতায়েন থাকেন। জেড-প্লাস নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডোদের মার্শাল আর্ট সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।♐ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীদের মতো ব্যক্তিত্বেরা জেড-প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।
জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা কেমন
জেড ক্যাটাগরি, নিরাপত্তার তৃতীয় সর্বোচ্চ স্তর। এই ⛎ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মোট ২২ জন কমান্ডো এবং পুলিশ কর্মীরা নিযুক্ত থাকেন। বাবা রামদেব ও অভিনেতা আমির খানকে দেওয়া হয়েছে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। কেন্দ্রীয় মন্ত্🐽রী চিরাগ পাসোয়ানকেও জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরি
ওয়াই-প্লাস ক্যাটাগরিতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ১১ জন কর্মী নিযুক্ত থাকেন। দু' জন প্রাইভেট সিকিউরিটি অফিসার (পিএসও) এবং অন্যান্য সশস্ত্র পুলিশ সদস্যও নিরাপত্তা দলে থাকেন। বিপদের আশঙ্কা বাড়লে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তনও করা যেতে পারে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, কেন্দ🍰্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বলিউড অভিনেত্রী এবং এখন বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে ওয়াই-প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে।