রাজনৈতিক দলগুলির ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে পড়ে অবশেষে নত🦹ুন নির্বাচন কমিশন গঠন করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার দেশের সাধারণ নির্বাচনের জন্য এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। এক𓆉ইসঙ্গে ভোটে আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করা হবে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও কবে ভোট হবে তা নিয়ে সরকারের তরফে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে ২০২৬-এর মাঝামাঝি সময়ে ভোট হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না, জারি হতে চলেছে 🅰অধ্যাদেশ
নির্বাচন কমিশনে অন্যান্য যে সদস্যরা রয়েছেন তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহম্মদ আবুল ফজল সানাউল্লাহ। জানা যাচ্ছে প্রধান নির﷽্বাচন কমিশন আগামী রবিবার শপথ গ্রহণ করবেন। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
তিনটি মন্ত্রকে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নাসির। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাও🌼য়ার পরেই তিনি বলেন, ‘আমি জাতিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোꦍগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই, যা জনগণের ভোটের অধিকারকে অক্ষত রাখবে।’
তবে অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচনে আদৌও কতটা নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল। কবে ভোট হবে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত অন্তবর্তী সরকারের তরফে নির্দিষ্টভাবে কোনও দিনক্ষণ বলা হয়নি। তবে মহম্মদ ইউনুসের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক আলোচনায় জানিয়েছেন, ২🏅০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভোট হতে পারে। ওদিকে, আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনুস জানিয়♏েছেন, আওয়ামিকেও ভোটে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের বিচার হবে। বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর নির্দোষ প্রমাণিত হলে তারা ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিল অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি । তারা আওয়ামী লিগের ভোಌটে অংশগ্রহণের পক্ষেই সওয়াল করেছে। এদিকে, সেনার একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তাঁকে স্বাগত জা💜নান ইউনুস।