আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। পদ্মাপারের নির্বাচন কমিশন এই তারিখটিই চূড়ান্ত করেছে। তবে ভোটের দিন অশান্তি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ৪৮ ঘণ্টার (৬ ও ৭ জানুয়ারি) হরতাল ডেকেছে বিএনপি। তাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে💮 ভোটারদের ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। যা ওপারের প্রধান বিরোধী দল। আর তাঁরাই এই নির্বাচন বয়কট, অসহযোগ আন্দোলন এবং দলের গ্রেফতার হওয়া নেতা–কর্মীদের 🅠মুক্তি দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তাই এই ভোটকে ঘিরে টেনশন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের বাসিন্দারাও নিজেদের মধ্যে জোর চর্চা শুর🍎ু করেছেন। ঢাকা, খুলনা থেকে শুরু করে রাজশাহী, চট্টগ্রাম—এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। তবে এই বিষয়ে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সংবাদমাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ‘ভোটের আগের দিন শনিবার সকাল ৬টা থেকে ভোটের পরদিন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার এই হরতাল পালন করা হবে। হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এই বন্ধ চলবে।’
তাহলে উপায় কী হবে? অন্যদিকে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র সমাবেশ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হয়। তার পর থেকে চার দফায় ৫ দিন হরতাল করেছে বিএনপি। এছাড়া ১২ দফায় ২৩ দিন সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে অবরোধ করেছে বিএনপি’র কর্মী–সমর্থকরা। তাছাড়া অসহযোগের ডাক দিয়ে ৭ জানুয়ারি ভোট বয়কটের আহ্বানে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দফায় টানা ৮ দিন গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়। এবার ৪৮ ঘণ্টা হরতালের এই কর্মসূচি সামনে চলে এলো। ত🌠বে শেখ হাসিনার কথায়, ‘নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। সবাই শান্তিপূর্ণ থাকবেন। 🐻নিজের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। প্রমাণ করবেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিরাজমান।’
আরও পড়ুন: ‘আইনি জট কাটলে একসপ্তাহে নিয়োগ করে 🎃দেব’, চাকরিপ্রার্থীদের বড় বার্তা ব্রাত্য বসুর
এছাড়া গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আন্দোলনরত বিএনপির কাজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। ঢাকা মহানগর, মিরপুর, ময়মনসিংহ হাইওয়ে, গুলিস্থান, বঙ্গবাজার এলাকায় হরতালের সপক্ষে লিফলেট বিলি করা হয়। তবে বিএনপি–কে দেশের উন্নয়নের শত্রু বলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর কথায়, ‘বিএনপি নিজেরা নির্বাচনে যাবে না। অন্যদের ভোট দিতে দেবে না। তারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিত💖ে চায়। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়।’