পদ্মা সেতুর উপর গাড়ি চলাচলের মাধ্যমে স্বপ্নের প্রথম ধাপকে ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ। এবার পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে চলল ট্রেন। এককথায় স্বপ্নের এক নতুন ধাপে উন্নীত হল বাংলাদেশ। সেতুর দ্বিতল বা আপার ডেকে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৫ জুন এই আপার ড💦েকে যানবাহন চলাচলের সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার লোয়ার ডেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালানো হল।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ট্রেনের প্রথম যাত্রী হিসাবে ছিল🧸েন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ একটি পরিদর্শনকারী ট☂্রেন সেতুর উপর দিয়ে যায়। এরপর ৬ বগির একটি ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়ায় যায়। এরপর ফের মাওয়া থেকে ভাঙা জংশনে ফিরে আসে ট্রেনটি।
তবে সূত্রের খবর, মোটামুটি ভাবে জুনেই যাত🐓্রীবাহী ট্রেন পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করার ব্যাপারে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি কার্যত সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা পুরোপুরিভাবে এই সেতুর উপর দিয়ে পুরোদমে যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে ডিসেম্বর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের অহঙ্কার পদ্মা সেতু। ✃এই সেতুতে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চিনের তরফে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি෴ টাকা দেওয়া হয়েছে। বিপুল অর্থ ব্যয়ে এখানে সেতুর উপর দিয়ে রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভাঙা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করা হয়েছে।
পদ্মাসেতু কার্যত দোতলা সেতু। উপরতলা দিয়ে যানবাহন চলে। দ্বিতীয় তল দিয়ে যাবে ট্রেন। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনতে এই পদ্মꦐা সেতু বড় ভূমিকা নিচ্ছে। এতদিন ধরে এই সেতুতে কেবলমাত্র গাড়ি চলাচল হচ্ছিল༒। তবে এবার এই সেতুতেই চলবে রেল।
এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি। গত ২০ অগস্ট এখানে প্রথম রেললাইন ಞস্থাপনের কাজ শুরু হয়। কথা ছিল মাস ছয়েকের মধ্য়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেটা কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। ধাপে ধাপে এখানে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার এই পথে রেলযোগাযোগ 🦹করাও সম্ভব হল। বাংলাদেশের গণপরিবহনের ইতিহাসে মাইলস্টোন তৈরি করল এই পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখানে পাথরবিহীন রেললাইন পাতা হয়েছে।