দু'দিন ব্যাপী ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের জেরে দেশজুড়ে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে পরিষেবা ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। তার জেরে গ্রাহকদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে।২০১৭ সালের নভেম্বরের থেকে বেতন বৃদ্ধির অপেক্ষায় রয়েছেন হাজার হাজার ব্যাঙ্ককর্মী। তাঁরা এই ধর্মঘটেও সামিল হবেন বলে দাবি ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির। ফলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাপক ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা গ্রাহকদের। জরুরি কোনও প্রয়োজনে টাকার দরকার হলে কী করবেন, তা ভেবেই ঘুম উড়েছে আমজনতার।ধর্মঘটের দিনক্ষণ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্রও। শুক্রবার সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করা হবে। পরদিন বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেজন্য খোলা থাকবে শেয়ার বাজারও। অথচ দু’দিনই (মাসের প্রথম শনিবার হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্ক খোলা থাকার কথা) স্বাভাবিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হলে যেমন ব্যবসায়ীদের লেনদেন ধাক্কা খাবে, তেমনই লগ্নিকারীদের কাছে ভুল বার্তাও যাবে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রের।তাই পরিস্থিতি সামলাতে অর্থ ও শ্রম মন্ত্রকের তরফে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। ন'টি ব্যাঙ্ককর্মী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকও করে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি।অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক জানান, সমঝোতার জন্য ধর্মঘট স্থগিত রাখার কথা বলেছিল আইবিএ। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও আশ্বাস না পাওয়ায় ধর্মঘট থেকে সরে আসতে রাজি হয়নি যৌথ মঞ্চ।