নীরজ মোহনহু হু করে বাড়ছে বাসমতি চালের দাম। কিন্তু কারণটা কী? সূত্রের খবর, আসলে সুগন্ধী চালের চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে একেবারে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়ে গিয়েছে। তার জেরেই এই পরিস্থিতি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রায় পাঁচ বছর পরে এভাবে বাসমতির চাহিদা বৃদ্ধির জেরে বড় লাভের মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বাসমতির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২০২২-২৩ এর সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি টন বাসমতির দাম ছিল ১০৫৭ মার্কিন ডলার( ৮৬০৫০ টাকা)। মে মাসে সেই দাম ছিল ১০১৯ মার্কিন ডলার(৮২৯৫৬টাকা)। তবে গত বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন বাসমতির দাম ছিল ৮৫৩ মার্কিন ডলার।দাম ক্রমশ চড়ছে বাসমতির। এপ্রিল -সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাসমতির রফতানি হয়েছে ২১.৫৭ লাখ টন। গতবছর সেই সময়কালের মধ্যে বাসমতির রফতানির রফতানির পরিমাণ ছিল ১৯.৪৫ লাখ টন।হরিয়ানায় বাসমতি চালের ভালো ফলন হয়। আর সেখানে দাম বৃদ্ধির জেরে ব্যবসায়ীদের মুখে একেবারে চওড়া হাসি। গত ৯বছরে এত ভালো দাম পাওয়া যায়নি পিবি-৩০ বাসমতির। গত বছরেও কুইন্টাল পিছু দাম ছিল ৪০০০-৪৫০০ টাকা। এবার সেই দামই দাঁড়িয়েছে ৬৫০০ টাকা।পুসা ১১২১, শরবতী, ডুপ্লিকেট বাসমতি, পুসা ১৭১৮ সবের দামই দাঁড়িয়েছে ৪৫০০ প্রতি কুইন্টাল।অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সহ সভাপতি বিজয় শেঠিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাসমতির চালের দাম ক্রমেই বাড়ছে। এর জেরে দামও ক্রমশ বাড়ছে। আমদানির পরিমাণও ক্রমেই বাড়ছে।কিন্তু চাষিরা কি লাভের মুখ দেখছেন?এনিয়ে কর্নালের এক চাষি রঘুবীর সিং জানিয়েছেন, চাষিদের এতে কোনও উপকার হচ্ছে না। কারণ তারা আগেই মাণ্ডিতে ধান বিক্রি করে দিয়েছেন।