প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান তথা দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় অর্থনীতিবিদ বিবেক দেবরায় প্রয়াত হয়েছেন। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স ছিল ৬৯ বছর। আজ সকালে দিল্লি এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিবেক দেবরায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, ডঃ বিবেক দেবরায় উঁচু মাপের পণ্ডিত ছিলেন। তিনি অর্থনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি, আধ্যাত্মিকতা এবং আরও অনেক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। সামষ্টিক অর্থনীতি, জনসাধারণের অর্থ এবং অবকাঠামো, অর্থনৈতিক সংস্কার, প্রশাসন এবং ভারতীয় রেলওয়ের মতো বিষয়গুলি নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছিলেন তিনি। এছাড়াও মহাভারত এবং গীতার মতো প্রাচীণ ধর্মগ্রন্থকে আধুনিক ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগের পর এবার বাংলাদেশে আক্রান্ত জাতীয় পার্টি, কেন্দ্রীয় কার্যꦗালয়ে আগুন)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হাꦓমলা নিয়ে সরব ট্রাম্প, দি𝔉ওয়ালি পালন করতে পারলেন না কমলা
আরও পড়ুন: পঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি চ🌱াল🌺ানোর ঘটনায় কানাডায় ধৃত ১, 'অন্যজন পালিয়েছে ভারতে'
এদিকে বিবেক দেবরায়ের প্রয়াণে মোদী সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে ক্যাপশনে শোকবার্তায় লেখেন, 'ডঃ বিবেক দেবরয়জি একজন পণ্ডিত ছিলেন। অর্থনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাজনীতি, আধ্যাত্মিকতা এবং আরও অনেক কিছুর মতো বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর দক্ষতা ছিল। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে ভারতের বৌদ্ধিক পরিসরে একটি অমোঘ চিহ্ন রেখে গেছেন। পাবলিক পলিসিতে তার অবদানের বাইরেও তিনি আমাদের প্রাচীন গ্রন্থগুলি নিয়ে কাজ করতেন। তা উপভোগ করতেন। সেগুলিকে যুব সমাজের কাছে সহজলোভ্য করে তুলেছিলেন।' (আরও পড়ুন: মাসের শুরু 🐟লম্বা সরকারি ছু🌺টি দিয়ে, দিওয়ালির জন্য ১-২ নভেম্বর কোথায় বন্ধ ব্যাঙ্ক?)
আরও পড়ুন: ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টি꧙কিট কাটার নিয়ম বদল আজ থেকে, আর আগেই যাঁরা কেটেছিলেন...
উল্লেখ্য, বিবেক দেবরায়ের জন্ম হয়েছিল শিলংয়ের এক বাঙালি পরিবারে। তাঁর দাদু সিলেট থেকে শিলংয়ে এসেছিলেন। বিবেক দেবরায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে পড়াশোনা করেছিবেন। এরপর তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে পড়াশোন করেন। পরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নীতি আয়োগের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। এর আগে পুণের গোখলে ইনস্টিটিউট অফ পলিটিক্স এবং ইকনমিক্সের চ্যান্সেলার পদেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রধান পদেও ছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: কলকাতায় ঘরোয়া গ্যাস সꦅꦦিলিন্ডার কিনতে অনেকেরই ১৯.৫৭ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে?)
আরও পড়ুন: ন💧য়া মাসে নয়া নিয়ম, SBI ক্রেডিট কার্ডে সারচা💯র্জ ৩.৭৫%, ফেস্টিভ অফার দিচ্ছে PNB
এদিকে নানান গুণের জন্য প্রশংসিত হলেও গতবছর সংবিধান পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই বিবেক দেবরায়। ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মোদীর উপদেষ্টা বলেছিলেন, 'এই সংবিধান পুরোপুরি পরিবর্তন করে নয়া সংবিধান আনা উচিত'। এদিকে 'এক দেশ, এক ভোট'-এর পক্ষে সওয়াল করে গতবছরই একটি রিপোর🐭্ট প্রকাশ করেছিলেন বিবেক দেবরায়। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, গত ৩০ বছরে এমন একটিও বছর যায়ন, যেখানে লোকসভা বা বিধানসভা ভোট হয়নি। এর জেরে যেটা হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে এই ভোটের খরচ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন পড়েছে। মানব সম্পদেরও প্রয়োজন পড়েছে। এদিকে রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ভোট মানেই আদর্শ আচরবিধি কার্যকর হওয়া। এর জেরে দিনের পর দিন ধরে সরকারি কাজকর্ম লাটে ওঠে। উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজকর্ম করা যায় না। আর রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার করতে ব্যস্ত থাকে। নিজের পেপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথাও উল্লেখ করেছিলেন বিবেক। তাঁর দাবি ছিল, যদি ভারত এই বদলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে তবে বিরাট উন্নয়নের দরজা খুলে যাবে।