শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকেই আওয়ামি লিগের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ধারাবাহিক ভাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামি লিগের অফিসে চলেছে ভাঙচুর। আক্রোশ গিয়ে আছড়ে পড়েছে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর। বঙ্গবন্ধুর বাসভবন থেকে মূর্তি ভাঙা হয়েছে সেদেশে। আর এবার রাজনৈতিক হিংসার শিকার হুসেন মহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় ভাঙচুর। অভিযোগ, 'ফ্যাসিবাদ-বিরোধী ছাত্র, শ্রমিক এবং জনতা' ব্যানার নিয়ে এসে কয়েকজন হামলা চালিয়েছিল। এদিকে অভিযুক্ত সংগঠনের পালটা অভিযোগ, আগে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল জাতীয় পার্টির কর্মীরা। (আরও পড়ুন: পঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় কꦕানাডায় ধৃ♌ত ১, 'অন্যজন পালিয়েছে ভারতে')
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হি💯ন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সরব ট্রাম্প, দিওয়ালি পালন করতে পারলেন না কমলা
উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামি লিগ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এই আবহে রাজনৈতিক পরিসরে বিএনপি-জামাতের বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। এই আবহে ঢাকায় এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার প্রস্তুতির জন্যে বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন নেতা-কর্মীরা। আর সেই সময়ই হামলা চালানো হয় পার্টি অফিসে। এদিকে এই সবের মধ্যেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব মহম্মদ মুজিবুল হক চুন্নু প্রশ্ন করেন, 'এভাবে রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হলে দেশে গণতন্ত্র কোথায়? দেশে কীসের রাজনীতি চলছে?' (আরও পড়ুন: নয়া মাসে নয়া নিয়ম, SBI ক্রেডিট কার্ডে সারচার্জ ৩.৭৫%, ফেস্টিভ অফার দিচ﷽্ছে PNB)
আরও পড়ুন: ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টি🀅কিট কাটার নিয়ম বদল আজ থেকে, আর ൩আগেই যাঁরা কেটেছিলেন...
আরও পড়ুন: মাসের শুরু লম্বা সরকারি ছুটি দিয়ে, দিওয়ালির জন্য ১-২ ন🐷ভেম্বর কোথায় বন্ধ ব্যাঙ্ক?
দলীয় কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে মুজিবুল জানান, 'ফ্যাসিবাদ-বিরোধী ছাত্র, শ্রমিক এবং জনতা' ব্যানার নিয়ে অনেকে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তারা। সেই সময় তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাতীয় পার্টির কর্মী সমর্থকরা। এর প্রা༺য় আধঘণ্টা পরে ফের সেখানে উপস্থিত হয়ে হামলা চালা🍌য় সেই বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা। দলের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। এদিকে বাংলাদেশের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লা ফেসবুকে পোস্ট করে জাতীয় পার্টিকে ‘জাতীয় বেইমান’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছেন জাতীয় পার্টির কর্মীরা। তিনি লেখেন, 'জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। এ বার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।' সারজিস আলমও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই ধরনের পোস্ট করেন। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন ধরানোর নেপথ্যে রয়েছে এই ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতা-কর্মীরা?