আদিত্য নাথ ঝা
বিহারের পুলিশের উপর চড়াও হল উত্তেজিত জনতা। কমপক্ষে ৯জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তার মধ্য়ে চারজন পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন। দুজন মহিলা কনস্টেবল রয়েছেন। গোপালপুর থানা এলাকায় একটি তদন্তে গিয়েছিলেন তারা। তখনই তাদ𒁏ের উপর হামলা চালায় জনতা। আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের নাউগাছিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসডিপিও দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি।♕ যারা এই হামলার ঘটনায় যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
এসডিপিও জানিয়েছেন, একদিন আগে গ্রামে লুঠপাট ও অগ্✅নিসংযোগের ঘটনা হয়েছিল। সেই অভিযোগের তদন্তের জন্যই গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। তখন মূল অভিযুক্ত প্রদীপ মণ্ডল এই হামলার ঘটনার কলকাঠি নাড়ে বলে অভিযোগ। তিনি মহিল𝓰াদের নানারকমভাবে উসকানি দিয়ে পুলিশের উপর হামলা করান।
পুলিশ জানিয়েছ⛎ে প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। তাকে একাধিকবার জেলে পোরা হয়েছিল। সে এই ঘটনায় মূল উসকানি দিয়েছিল। এসডিপিও জানিয়েছেন, সেদিন দুজন মহিলা কনস্টেবলকে প্রচন্ড মারধর করা হয়েছে। তবে তারা এখন সকলেই বিপদমুক্ত।
এক আক্রান্ত পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, আমরা প্রদীপের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এরপরই সে চিৎকার শুরু করে দেয়। তারপরই এলাকার মহিলারা জড়ো হয়ে যান। তারা পুলিশকে ঘিরে ধরে। রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে তারা এসেছিল। কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস🍌্ত্রও ছিল। তারা হামলা চালায়। আমাদের অস্ত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা তারা করেছিল।
তবে তারা মহিলা কনস্টেবলদেরও ছাড়েনি। তাদের ℱউপরেও হামলা চালায়। তবে শেষ পর্যন্ত যে কারোর প্রাণহানি হয়নি এটাই ভাগ্যের।
অন্যꦰদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, পু൩লিশ এলাকায় ঢুকেই লাঠিচার্জ করছিল। তারা মহিলাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছে। তাদের দাবি, যখন আমরা দেখেছিলাম মহিলা ও বাচ্চাদের উপর তারা হামলা করছে তদন্তের নামে, অত্যাচার করছে তখন আমরা বাধ্য হয়েই নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা করি।
পুলিশ জানিয়েছে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এনিয়ে অভিযোগ জানানো হবে। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রা✃মে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা এলাকায় শান্তি বজায় রেখেছে। এদিকে গত কয়েকমাসে বিহারে পুলিশের উপর একাধিকবার এই ধরনের হামলার ঘটনা হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়।✃ HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক