মল্লিকা সোনিবার্ড ফ্লু কি পাখি থেকে মানুষের শরীরে চলে আসতে পারে? গোটা বিশ্ব জুড়ে ঠিক কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে? এনিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। ভয়াবহ এই আশঙ্কার কথা ক্রমেই সামনে আসছে এবার। USA Today তে সম্প্রতি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সামনে এসেছে। কর্নেল ইউনিভার্সিটি সেন্টারের ডিরেক্টর ডঃ জয় ভার্মাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বার্ড ফ্লু নিয়ে যা চলছে তা নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়েই একটা অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনে কী হবে তা নিয়েও একটি অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে এনিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে গোটা বিষয়টি বোঝা দরকার।বার্ড ফ্লু নিয়ে কী কী জানা দরকার১) সেই ১৯৯০ সাল থেকে বিশেষজ্ঞরা বার্ড ফ্লু সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছেন। ২) বর্তমানে যে স্ট্রেনের মাধ্যমে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে সেটি হল H5N1 2.3.4.4b৩)২০২০ সালে প্রথম এই ধরনের ভাইরাসের সন্ধান মেলে। মূলত পরিযায়ী পাখিদের মাধ্যমে এই ধরনের ভাইরাস ছড়িয়েছিল বলে খবর মেলে। আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এমনটাই মনে করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।৪)২০২১ সালের শেষ দিকে H5N1 স্ট্রেনটি প্রথম উত্তর আমেরিকা থেকে আসা শুরু করে।৫) মার্কিন কৃষি বিভাগের তরফে বলা হয়েছিল ৪৭টি রাজ্যে ৫৮ মিলিয়ন মুরগী আক্রান্ত হয়েছিল এই ভাইরাসে। চলতি সপ্তাহে ৬২০০ বন্য পাখিও আক্রান্ত হয়েছিল।৬) ইউএসএ টুডে অনুসারে ডাঃ জয় ভার্মা জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে এই ভাইরাসটি খুব সহজেই পাখিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। বহু পাখি একের পর এক মারা যাচ্ছে। কার্যত পাখির মড়কের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।৭)এদিকে এই H5N1 এর আগে একাধিক পশুর শরীরেও পাওয়া গিয়েছিল। যেমন শিয়াল, পাহাড়ি সিংহ, ডলফিন, ভালুকের শরীরে। ৮) এদিকে এর আগে স্প্যানিশ মিঙ্কের ফার্মে এই ধরনের মড়ক দেখা গিয়েছিল। একের পর এক মিঙ্কের শরীরে সংক্রমণ, খিদে কমে যাওয়া, রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫১,০০০ মিঙ্কের মৃত্যু হয়।এদিকে গবেষকরা ইতিমধ্যেই এই বার্ড ফ্লুর নতুন ধরনের ভাইরাস সম্পর্কে খোঁজখবর করছেন। প্রশ্ন উঠছে তবে কি আগামী দিনে এই ভাইরাসই অতিমারির কারণ হয়ে উঠবে।