উত্তর ভারতে বেশ ভালোই শীত পড়েছে। এই আবহে দিল্লিগামী ট্রেনে শীতে কাবু দুই রেলযাত্রী গোবরের ঘুঁটে জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে শুরু করে দেন। এই ঘটনায় দুই রেলযাত্রীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত দুই রেলযাত্রীর নাম চন্দন কুমার এবং দেবেন্দ্র সিং। দু'জনেই ফরিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, চন্দন ও দেবেন্দ্র গোবরের ঘুঁটে নিয়েই ট্রেনে উঠেছিলেন। শীত করলে সেই ঘুঁটে জ্বালিয়ে আগুন পোহাবেন বলেও আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে সম্পর্ক ক্রান্তি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ট্রেনটি অসম থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল। চন্দন ও দেবেন্দ্রকে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে গ্রেফতার করা হয়। (আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে 'উড়ে' গেল বোয়িং ৭৩৭-এর জানলা! চোখের সাম🎉নে 'মৃত্যু' দেখলেন ১৭৪ যাত্রী)
আরপিএফ-এর জেরার মুখে চন্দন ও দেবেন্দ্র নাকি বলেন, 'আমাদের খুবই ঠান্ডা লাগছিল। তাই ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতেই গোবরের ঘুঁটে জ্বালিয়েছিলাম আমরা।' ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ভারতীয় রেল আইনের আওতায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ট্রেনের অসংরক্ষিত জেনারেল কামরায় উঠেছিল চন্দন ও দেবেন্দ্র। এদ🐷িকে এই ঘটনায় আরও ১৪ জন রেলযাত্রীকেও আটক করা হয়েছিল প্রাথমিক ভাবে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানায় আরপিএফ। জানা গিয়েছে, ট্রেনে মোতায়েন কয়েকজন আরপিএফ জওয়ানের নজরে পড়ে ধোঁয়া। এরপরই আলিগড়ে আরপিএফ বেসে তাঁরা বিষয়টি জানিয়ে দেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে হতবাক হয়ে যান আরপিএফ আধিকারিকরা। এর থেকে গো⭕টা ট্রেনে আগুন লেগে যেতে পারত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি থেকে দারভাঙাগামী এক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল গত নভেম্বরে। উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ায় সেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে আহত হয়েছিলেন ১০ জন যাত্রী। সেই দুর্ঘটনার ১০ ঘণ্টা 🎉যেতে না যেতেই আরও একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের স্লিপার কোচে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ইটাওয়ারই মৈনপুরী জংশনে। গভীর রাতে নয়াদিল্লি থেকে বিহারগামী ১২৫৫৪ বৈশালী এক্সপ্রেসের এস৬ নং কামরায় আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই সময় অনেক যাত্রীই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ১৯ জন যাত্রী।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর পাতালকোট এক্সপ্রেসের কামরায় ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আগ্রা থেকে ঢোলপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। এদিকে গত অগস্টে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিনে বেঙ্গালুরু এবং গোয়ালিয়রে দু'টি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বেঙ্গালুরুর ঘটনায় উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং বি১ ও বি২ কোচ দু'টিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে সম্প্রতি আপ কল্যাণী সীমান্ত লোকাল থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ট্রেন স্টেশনেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। এদিকে গত জুলাই মাসেই আবার একটি বন্দে ভারত ট্রেনে আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই ভোরে মধ্যপ্রদেশের কুরওয়াই কেথোরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। ভোপাল থেকে দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন টার্মিনালে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটি। ট্রেনের সি১২ কোচের নীচে আগুন লা𓆉গে। তবে সেই ঘটনাতেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এরও আগে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসের একটি এসি কামরায় আগুন ধরে গিয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ꦡযাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে গিয়েছিল। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়।