জম্মুতে একটি খাদে পড়ল বৈষ্ণোদেবীগামী যাত্রী বোঝাই বাস। দুর্ঘটনার জেরে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে বাসটি জম্মুর কাটরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বাসে মোট ৭৫ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। এদের মধ্যেই অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়✱। তাঁদের বেশিরভাগই বিহারের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, জম্মু থেকে ৩৫ কিমি দূরে ঝাঝর কোটলি এলাকায় একটি সেতু থেকে নীচে খাদে পড়ে যায় বাসটি। গন্তব্য থেকে মাত্র ১৫ কিমি আগে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ৫০ জন যাত্রীও বেশ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ২১ মে থেকে এই নিয়ে বৈষ্ণোদেবীর পথে এটা দ্বিতীয় এধরনের দুর্ঘটনা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেতেই স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌܫঁছান এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খাদে পড়ে যাওয়া বাস থেকে একে একে যাত্রীদের উদ🍒্ধার করে জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঝাঝর কোটলিতে অবস্থিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও পাঠানো হয়। এদিকে জানা গিয়েছে, রাস্তায় দৃশ্যমানতার সমস্যা ছিল না। নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই বাসটি সেতু থেকে নীচে খাদে পড়ে।
এদিকে বাসের এক যাত্রী দাবি করেন, দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এদিকে অপর এক যাত্রী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'বাস দুর্ঘটনার সময় আমি ঘুমোচ্ছিলাম। আচমকাই চেঁচামেচি শুনতে পাই। সঙ্গে একটা ঝটকা। এরপর নীচের দিকে যেতে থাকি।' এদিকে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'আমি দেখলাম🌊 বাসটি দ্রুত গতিতে এই বাঁকটা ঘুরছে। তখন সকাল প্রায় সাড়ে পাঁচটা। দেখে মনে হচ্ছিল যে চালক হয়ত বাসের ওপর নিয়ন্🐓ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন বা ব্রেক ফেল করেছে। তারপরই বাসটি নীচে পড়ে গেল। আমি এবং আরও বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তক্ষুণি দুর্ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়।'
এর আগে গত ২১ মে এই একই ধরনের বাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল বৈষ্ণোদেবীর পথে। সেবার কাট🍨রার মুড়িতে ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি। তাতে ২৩ জন পুণ্যার্থী আহত হয়েছিলেন। প্রাণ হারিয়েছিলেন একজন। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের রেসাই জেলায় অবস্থিত কাটরাকেই বেসক্যাম্প করে বৈষ্ণেদেবীতে যান পুণ্যার্থীরা। কাটরা পর্যন্ত বাস রুট রয়েছে। এরপর হাঁটতে হয়। তবে কাটরা যাওয়ার পথে এই ক'দিনের মধ্যে দু'টো দুর্ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে।