ব্র্যান্ডিংয়ে আর খরচ নয়। লাভের মুখ দেখতে অবশেষে দেদার বিজ্ঞাপন-স্পনসরশিপে রাশ টানল Byju's । ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রায় ৪,৫০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান করেছে সংস্থা। বর্তমানেও ব্যবসায় বৃদ্ধির সেরকম কোনও লক্ষণ নেই। বরং বিতর্কের জেরে বেশ চাপেই সংস্থা। শেষ পর্যন্ত বড় বড় স্পনসরশিপ ডিল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে🌟ছে তারা। ভারতের সবচেয়ে বেশি ভ্যালুয়েশনের এড-টেক স্টার্টআপ বাইজুস।
বাইজু বর্তমানে BCCI(বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া), ICC (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল) এবং FIFA (ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন)-এই তিনটি বড় সংগঠনের সঙ্গে ব্র্যান্ডিং পার্টনারশিপে রয়েছে। শীঘ্রই তা রিনিউয়ালের সময় এসে গিয়েছিল। তবে তার ঠিক আগে আগেই রিনিউয়াল বাতিল করেছে বাইজুস। এমনটাই জানিয়েছেন, সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বাইজু রবীন্দ্রন। এই বিষয়ে আরও পড়ুন: জার্সি স্পনসর চুক্তি থ💙েকে বেরিয়ে যে🌠তে চায় বাইজুস, স্টার চায় ১৩০ কোটির ছাড়
এই পদক্ষেপের ফলে সংস্থার কয়েকশো কোটি টাকা বেঁচে যাবে। কীভাবে? কারণ শুধুমাত্র ফিফা স্পনসরশিপের পিছনেই প্রায় ৩০-৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঢেলেছিল সংস্থা। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৪০-৩২০ কোটি টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে ক্রিকেটে BCCI-এর স্পনসরশিপে আরও বেশি টাকা খরচ করত বাইজুস। সেখানেও ব্র্যান্ড ডিল ছিল ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪৬ কোটি টাকারও বেশ🎀ি। সংস্থার লোকসানের পিছনে এই বিপুল অঙ্কের ব্র্যান্ডিং খরচকেই দায়ী করা হত।
গত বছর FY21-এর আর্থিক রিপোর্টের পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে বাইজুস। সেই বছর(অর্থবর্ষ) প্রায় ৪,৫৮৯ কোটি টাকার নেট লোকসান রিপোর্ট করেছিল তারা। সেই বছর ভারতের সবচেয়ে বড় অঙ্কের লোকসানকারী স্টার্টআপ ছিল তারা। তারপর ২০২২-এর অক্টোবরেই ২,৫০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করে সংস্থা। ঘোষণার পর বাইজু রবীন্দ্রন🔴 কর্মীদের উদ্দেশে এক আবেগঘন চিঠি লেখেন।𒆙 তাতে বলেন, কোনও উপায় না থাকায় এই সিদ্ধান্ত। এই কর্মী হ্রাসের মাদ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে লাভজনক সংস্থায় পরিণত হওয়ার প্রচেꦑষ্টা চালাচ্ছে তারা।
যদিও, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের পরপরই লিওনেল মেসির সঙౠ্গে এক স্পনসরশিপ ডিলের ঘোষণা করে বাইজুস। তাই▨ নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। যদি উপায় না থাকায় কর্মী ছাঁটাই করার মতোই অবস্থা হয়, সেখানে এমন বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে কীভাবে ব্র্যান্ড ডিল হꦐচ্ছে? প্রশ্ন তোলে🍬ন অনেকেই।
তার উপর সংস্থার ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ ওঠে, বলপূর্বক মধ্যবিত্ত অভিভাবকদের মোটা টাকার কোর্স বিক্রি করতেন সংস্থার সেলস কর্মীরা। এদিকে সেলস কর্মীরাও পাল্টা অভিযোগ করেন যে, সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেন-তেন প্রকারেণ কোর্স বিক্রি করতে চাপ দিতেন। সংস্থায় কাজের 'ভয়াবহ' অভিজ্ঞতার দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স♐রবও হয়েছেন ♔প্রাক্তন কর্মীরা।
একাধিক সংবাদমাধ্যম রিপোর্টে বাইজুস-এর জোর করে কোর্স বিক্রির অভ্যাসের বিষয়টি উঠে আসে। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR) বাইজুস-এর কর্ম সংস্কৃতি এবং গ্রাহক পরিষেবার বিষয়ে জানতে পারে। সংস্থার প্রধান বাইজু রবীন্দ্রনকে সমন করে NCPCR।
এরপরেই চাপের মুখে নীতি বদল করে বাইজুস। তারা জানায়, টিউশন ফি দিতে বা ঋণের টাকা পূরণ করতে সমস্যা হতে পারে, এমন পরিবারকে কোর্স বিক্রি করা হবে না। একটি আয়ের সীমাও স্থির করেছে সংস্থা। মাসে ২৫ হাজার টাকার কম আয়, এমন পরিবারদের কোর্স বিক্রি বা ঋণ প্রদান করা হবে না। এই বিষয়ে পড়ুন:🤡 মাসে ২৫ হা🉐জার টাকার কম আয় করা অভিভাবকদের শিশুদের কোর্স বেচবে না Byju's
শুধু তাই নয়, সংস্থা জানিয়েছে এখন থেকে সম্পূর্ণই টেলিকলিংয়ের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করার চেষ্টা করা হবে। আর বাড়ি বাড়ি সেলসম্যান পাঠাবে না Byju's। জুমকলের মাধ্যমে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা হবে। পুরোটাই আগামিদিনে 'অডিট' করার জন্য রেকর্ড করা থাকবে। এই বিষয়ে পড়ুন: বিতর্কের পর শিক্ষা, আর বাড়ি বাড়ি স𝓡েলসম্যান পাঠাবে না Byju's
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থে🤡কেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক ⭕