সুইৎজারল্যান্ডের বিলাসবহুল জেনেভা ভিলায় চাকরদের 'অবৈধভাবে শোষণের' দায়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোটিপতি হিন্দুজা পরিবারের চার সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা মানব পাচারের অভিযোগ খারিজ করে আদালত। তবে এই মামলায় প্রকাশ হিন্দুজা (৭৮) এবং তাঁর স্ত্রী কমল হিন্দুজাকে (৭৫) সাড়ে চার বছর এবং হিন্দুজা দম্পতির পুত্র অজয় এবং পুত্রবধূ নম্রতাকে চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। যদিও ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, হিন্দুজা পরিবার ৪৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক। জ্বালানি তেল, ব্যাঙ্কিং থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যবসা প্রসারিত। মোট ৩৮টি দেশে হিন্দুজারা ব্যবসা চালায়। (আরও পড়ুন: 'ছেঁড়া OMR…', NEET নিয়🦩ে বড় অভিযোগ পানিহাটির ছাত্রীর, কী বলল কলকাতা হাই কোর্ট?)
আরও পড়ুন: সরকারি করꦰ্মীদের ৩০০ কোটি 'হাওয়া' করল সরকার, অবশেষে বেতন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত CM-এর
আরও পড়ুন: ১ কোটি জরিমানা 🌸থেকে ১০ বছর জেল, NEET বিꦚতর্কের মাঝে কার্যকর প্রশ্নফাঁস বিরোধী আইন
অভিযোগ ওঠে, দিনে মাত্র ৮ ডলার বা ৭ ফ্রাঙ্ক (ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৬০ টাকা) বেতন দিয়ে ভারতীয় পরিচারিকাদের দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করাত হিন্দুজা পরিবার। যা কি না সুইৎজারল্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড রেটের ১০ ভাগের ১ ভাগ। এদিকে সপ্তাহে সাতদিনই কাজ করতে হত পরিচারিকাদের। কোনও ছুটি দেওয়া হত না তাদের। এমনকী পরিচারিকাদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে। পরিচারিকাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবারের এই চার সদস্যের বিরুদ্ধে। পরিচারিকাদের থেকে নিজেদের পোষ্য কুকুরের ওপরে বেশি খরচ করার অভিযোগ উঠেছে হিন্দুজাদের বিরুদ্ধে। বছরে নাকি ৮৫৪৮ ফ্রাঙ্ক বা ভারতীয় মুদ্রায় ৮ লাখ টাকা নিজেদের পোষ্য কুকুরের জন্যে খরচ করেছে হিন্দুজা পরিবার। (আরও পড়ুন: ৪ দফার বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি কর্ম💦ীদের, অপরদিকে বেতন বাড়া🐽তে কমিশন গঠন রাজ্যের)
আরও পড়ুন: ১২ বছরেই NYU-তে সুযোগ! ইতিহাস সুবর্🌠ণের, 'ক্লাস' করিয়েছিল রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে
এদিকে হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী এই সব অভিযোগ খারিজ করে দাবি করে যে তাদের ভিলাতে কাজ করা পরিচারিকারা 'ভালো জীবনের সুযোগ' পেয়ে 'কৃতজ্ঞ'। এদিকে আদালতের কারাদ🤪ণ্ডের সাজায় নাকি হিন্দুজা পরিবার 'হতবাক'। এই আবহে তারা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবে। তাদের দাবি, ভিলার পরিচারিকা যখন ইচ্ছে তখন বাইরে বেরোতে পারেন। এর আগে হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা তিন পরিচারিকার সঙ্গে আদালতের বাইরেই 'বোঝাপড়া' করে নেওয়া হয়েছিল। তবে এই সব অভিযোগের গুরুত্বের জেরে সরকার পক্ষের আইনজীবী মামলা করেন। এদিকে সত্তোরের ওপর বয়সি প্রকাশ এবং কমল হিন্দুজা শারীরিক অক্ষমতার কারণে এই মমালার বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি। এদিকে অজয় এবং নম্রতা এর আগে শুনানিতে হাজির থাকলেও রায়দানের দিনে আদালতﷺে আসেননি।