সংঘর্ষের পর 🔥প্রায় তিন সপ্তাহ অতিক্রান্ত। এখনও উত্তপ্ত অসম-মিজোরাম সীমান্ত। সেই উত্তেজনা প্রশমনে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে বলে জানালেন অসমের মুখ্যসচ🌳িব জিষ্ণু বড়ুয়া।
গত ১৭ অক্টোবর অসমের কাছার জেলার লায়লাপুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিজোরামের কোলাসিব জেলা🦂র বাইরেংতের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। তারপর থেকে দু'রাজ্যের ১৬৪.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে রীতিমতো উত্তেজনা আছে। অসমের দাবি, মিজোরামের নিরাপত্তাবাহিনী অসমের ভূখণ্ডে জবরদখল করেছে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে মিজোরাম পালটা জানিয়েছে, ওই এলাকা তাদের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। ২৮ 💮অক্টোবর থেকে লায়লাপুরের বাসিন্দারা ৩০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। যা মিজোরামে যাচ্ছে।
তারইমধ্যে সোমবার মিজোরাম পুলিশের হღেফা♛জতে এক অসমবাসীর মৃত্যুর ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। অসমের দাবি, ওই ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। যদিও মিজোরামের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। মাদক বিক্রির জন্য পড়শি রাজ্যে প্রবেশ করার পর তাকে পাকড়াও করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়ালের নির☂্দেশে পরদিনই সীমান্তবর্তী জেলায় যান অসমের মুখ্যসচিব। সঙ্গে ছিলেন ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মোহান্ত। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পরদিন বরাক উপত্যকার উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক, পুলিশ এবং বন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি বলেন, 'এই সমস্যার শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের রাস্তা আছে। যে কোনও মূল্যে শান্তি বজায় রাখতে হবে। আমাদের ধৈর্য ও সংযম দেখাতে হবে। এই জটিল অবস্থা থেকে বেরনোর জন্য রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে চেষ্টা করছে।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, সীমান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হতে পারে। মুখ্যসচিবের কথায়, ‘আন্তঃরাজ্য সীমান্তে বাহিনী পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত সরকার। একবার বাহিনী এসে গেলে দ✱ু'রাজ্যেই শান্তি ফিরে আসবে বলে আমার মনে হয়।’