দশটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উৎপাদন সংক্রান্ত বিশেষ উৎসাহ বা ইনসেনটিভ প্রকল্পে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলিকে চাঙ্গা করতে সেই প্রকল্পের অধীনে পাঁচ বছরে মোট দু'লাখ কোটি টাকা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলের জোগানের মতো সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য ৮,১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে।বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধি করতে, রফতানি চাঙ্গা করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন ক্ষেত্রে দু'লাখ কোটি টাকা উৎপাদন সংক্রান্ত বিশেষ ইনসেনটিভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক রাসায়নিক সেল ব্যাটারি (১৮,১০০ কোটি টাকা), বৈদ্যুতিন বা প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম (৫,০০০ কোটি), অটোমোবাইল ও গাড়ির সরঞ্জাম (৫৭,০৪২ কোটি টাকা), ওষুধ (১৫,০০০ কোটি টাকা), টেলিকম এবং নেটওয়ার্কিং পণ্য (১২,৯১৫ কোটি টাকা), বস্ত্র (১০,৬৮৩ কোটি টাকা), খাদ্যদ্রব্য (১০,৯০০ কোটি টাকা), উচ্চক্ষমতার সৌরযন্ত্র (৪,৫০০ কোটি টাকা), শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র-সহ বিভিন্ন পণ্য (৬,২৩৮ কোটি টাকা) এবং বিশেষ ইস্পাত (৬,৩২২ কোটি টাকা) ক্ষেত্রে সেই প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়েছে। জাভড়েকর দাবি করেছেন, উৎপাদন সংক্রান্ত ইনসেনটিভ প্রকল্পের ফলে বিশ্বের উৎপাদন ক্ষেত্রের হাব হিসেবে গড়ে উঠবে ভারত। আর দ্বিতীয় সিদ্ধান্তের ফলে সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে পিপিই (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলের পথ প্রশস্ত হবে।কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য যে প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যে আর্থিক এবং মূল পরিকাঠামো ক্ষেত্রে চালু আছে। এবার সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রকেও সেই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মূলত দুটি ভাগে সেই প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। প্রথমত, জলের জোগান, স্বাস্থ্য-শিক্ষার মতো সামাজিক ক্ষেত্র এবং দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য-শিক্ষা ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক সামাজিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে সাহায্য করা হবে।