পূর্ব লাদাখে অচলাবস্থা নিরসনে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বললেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও ভারত কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা বজায় রেখেছে। উভয় পক্ষই সম্প্রতি এই ইস্যুগুলি নিয়ে একটি সমাধান সূত্রে পৌঁছেছে। চিন এই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করছে। পরবর্তী পদক্ষেপে, চিন উপরোক্ত সমাধানটি বাস্তবায়নের জন্য ভারতের সাথে কাজ করবে।' (আরও পড়ুন: এবার কি 💞LAC থেকে ভারতীয় জওয়ানদের প্র🐼ত্যাহার করা হবে? মুখ খুললেন সেনা প্রধান)
আরও পড়ুন: চতুর্থ পারমাণবিক সাবমেরিন জলে নামাল ভারত, নিউক্লিয়ার মিসাইলের রেঞ্জ ৩৫ℱ০০ কিমি
প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কাটতে চলেছে। এই নিয়ে সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, 'গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা চলেছে, সেটার ফলস্বরূপ ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা প্যাট্রলিং নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দু’দেশ।' যদিও কোন কোন বিষয় নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে, তা খোলসা করে বলেননি মিসরি। এরই মধ্যে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ডেপস্যাঙে ভারতের টহলের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। উল্লেখ্য, ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হল, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মী নিয়োগে বৈষম্য কেন? দীর্ঘ ꦛকয়েক দশকের নিয়ম খারিজ সুপ্রিম কোর্টে)
আরও পড়ুন: 'মিলেছে প্র🌊মাণ', আরজি কর কাণ্ডে এবার সন্দীপের বিরুদ্ধে পেশ হবে চার্জশিট
আরও পড়ুন: পাক সফরকালে কেমন কেﷺটেছিল সময়? অকপট জয়শংকর বললেন...
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ভারতীয় দিকে। তবে সেই সমস্যা কিছু দিন আগেই মিটেছে। তবে এরই মধ্যে ডেপস্যাঙের সমস্যারও সমাধাম সূত্র বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। এদিকে ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে অবস্থা ছিল, সেই জায়গাতেই ফিরে যাবে কিনা; সম্প্রতি টহলদারির জন্য যে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা হয়েছে, সেটার কী হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকা থেকে টহলদারি নিয়ে ভারত এবং চিন ঐক্যমতে পৌঁছেছে। তবে তাতে ২০২০ সালের আগের স্থিতাবস্থা ফিরছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। (আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগে বড় উপহার, দুর্গাপুজোর আমেজ কাꦦটতেই জ⛎ারি হল ডিএ বৃদ্ধির অর্ডার)
আরও পড়ুন: নভেম্বরে এয়া🌺র ইন্ডিয়ার বিমানে হামলার হুমকি পান্নুনের, কী বললেন জয়শংকর?
উল্লেখ্য, এই ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছে ভারত ও চিনের মধ্যে। গত সেপ্টেম্বরেই সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে পূর্ব লাদাখে ডেসপ্যাং এবং ডেমচক এলাকায় সংঘাত এখনও মেটেনি। অবশেষে ওই দুটি সংঘাতের জায়গায় সমস্যা মিটতে বলেছে বলে ইঙ্🉐গিত মিলেছে।