ꦿ আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সম্পর্কিত এক ঘটনা মনে করিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। এক টুইট বার্তায় আজ রমেশ লেখেন, 'আজ অটল বিহারি বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী। চিনা আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা চেয়ে মেয়াদের আগে সংসদের অধিবেশন ডাকার আবেদনে অনেক সাংসদ চিঠি দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহেরুকে। সেই সময় প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া অটল বিহারি বাজপেয়ীও সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। সাংসদদের সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছিলেন নেহেরু। তবে এখন সাংসদরা আর চিনা আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না।'
ꦫউল্লেখ্য, অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াঙে ভারত-চিনা সেনার সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবিতে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদ। সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে এই নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিবৃতি পেশ করলেও সরকার পক্ষ আলোচনায় সায় দেয়নি। এই আবহে একাধিকবার সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। এই আবহে এবার বিজেপির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অটল বিহারি বাজপেয়ীর উদাহরণ তুলে ধরেই মোদী সরকারকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এর আগে সোনিয়া গান্ধী চিন ইস্যুতে কেন্দ্রের 'একরোখা মনোভাবে'র সমালোচনা করেছিলেন। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, 'চিন যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র যাবতীয় হুমকি এড়িয়ে যাচ্ছে। ওরা ঘুমিয়ে আছে।' তিনি আরও মন্তব্য করেছিলেন, 'তাওয়াং সেক্টরে ভারতীয় জওয়ানদের পিটিয়েছিল চিনের বাহিনী।' যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিজেপি। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে রাহুলকে পালটা আক্রমণ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, 'পিটিয়েছিল' ধরনের শব্দ ভারতীয় সেনার জন্য প্রয়োগ করা যায় না।
💯প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াঙে দুই দেশের সেনা জওয়ানরা সংঘাতে জড়ান। প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসেছিল চিন। রাজনাথ সিং তাওয়াং সংঘাত নিয়ে সংসদে বলেন, ‘ভারতের কোনও সৈন্য এই সংঘর্ষে মারা যায়নি এবং কেউ গুরুতর জখম হয়নি। ভারতীয় সামরিক কমান্ডাররা সময়মত হস্তক্ষেপ করায় পিএলএ জওয়ানরা তাদের জায়গায় ফিরে যায়। ঘটনার পরে এলাকার স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি পতাকা বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। চিনা পক্ষকে এই ধরনের পদক্ষেপ করতে বারণ করা হয়েছে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। বিষয়টি চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়েও তোলা হয়েছে।’