কোভিডকালে নিজের সরকারি বাসভবনের সৌন্দর্যায়নে ৪৫ কোটি খরচ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সম্প্রতি এই তথ্য সামনে আসতেই দিল্লির রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এই বিষয়টির দিকে 'নজর' দেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। আর এরই মধ্যে এবার 'কনম্যান' সুকেশ চন্দ্রশেখরের একটি বিস্ফোরক চিঠি গেল লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, কেজরিওয়ালের বাড়িতে যে বিলাসবহুল আসবাবপত্র রয়েছে, তার ব্যয়ভার বহন করেছেন তিনি। এর আগে অবশ্য আম 🦂আদমি পার্টির তরফে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের মেরামতি দিয়ে সাফাই দেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে বিতর্ক থামছে না। আর এই বিতর্কের আগুনে এবার ঘি ঢালার কাজ করলেন সুকেশ চন্দ🃏্রশেখর।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর𝔉্নর ভিকে সাক্সেনা দিল্লির মুখ্যসচিব নরেশ কুমারকে নির্দেশ দেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন মেরামতি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি যাতে সামলে রাখা হয়। এবং তা খতিয়ে দেখে যাতে তাঁকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়। এরই মাঝে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে চিঠি লিখে সুকেশ দাবি করেন, বাসভবনের বিলাসবহুল আসবাবের খরচ তিনি নিজের পকেট থেকে দিয়েছেন। এবং সেই আসবাব নিজে পছন্দ করেছেন কেজরিওয়াল। তাঁর সঙ্গে সেই সময় ছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনও। সুকেশের দাবি, এই আসবাবের অনেকগুলি ইতালি থেকে আমদানি করা হয়েছে। সুকেশ জানান, হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়ে এবং ভিডিয়ো কলে কেজরিওয়ালকে আসবাব দেখিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে এই গোটা পর্বে আম আদমি পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ছাদে তিনবার ধস নামে। এরপরই প﷽িডাব্লুডি-কে ভবনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, কেজরিওয়াল এবং তাঁর মা-বাবার ঘরের ছাদে ধস নেমেছিল। এমনকী কেজর﷽িওয়াল যে ঘরে লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন, সেই ঘরের ছাদেও ধস নামে। প্রসঙ্গত, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনটি ৮০ বছর পুরোনো।
এদিকে কেজরির বাংলো মেরামতি সংক্রান্ত নথি থেকে জানা যাচ্ছে যে এই নির্মাণ কাজের জন্য সরকারের তরফে মোট ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্মাণকাজ শেষ করতে মোট ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। সিভিল লাইন্সের ৬ নং ফ্ল্যাগস্টাফ রোডে অবস্থিত এই বাসভবনের পুনঃনির্মাণে মোট ছয় দফায় টাকা খরচ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এই টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে নথি থেকে। নথি থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে বাসভবনের ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশনেই খরচ হয়েছিল ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এদিকে ফ্লোরে পাথর বসানোর ক্ষেত্রেಌ খরচ হয়েছিল ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এদিকে ইন্টেরিয়ার ডেকোরেশনের কন্সাল্টেশন ফি বাবদ খরচ হয়েছিল ১ কোটি টাকা। এদিকে বাসভবনের ইলেক্ট্রিক ফিটিংয়ের জন্য ২.৫৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এদিকে ইলেক্ট্রিক ফিটিং এবং অ্যাপ্লায়েন্স বাবদ খরচ হয়েছিল ২.৮৫ টাকা। এদিকে ওয়ার্ডরোব ফিটিংয়ে খরচ হয়েছিল ১.৪১ কোটি টাকা। রান্নাঘর সাজাতে খরচ হয়েছিল ১.১ কোটি টাকা। এদিকে কেজরিওয়ালের ক্যাম্প অফিসের ওপর খরচ করা হয়েছে ৮.১১ কোটি টাকা।