সব জায়গায় তুঙ্গে সংক্রমণ। অথচ উত্পত্তিস্থল চিনেই সংক্রমণ সেভাবে হয়নি। ফলে এটি পরিকল্পিত জৈব অস্ত্র কিনা, তার যাচাই প্রয়োজন। এই মর্মেই মামলা করা হল দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ আদালতে। মামলাকারী স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেলএ বিষয়ে ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তদন্তের আর্জি করেন তিনি। পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, 'ভারতের প্রতি চিনের আগ্রাসী ও বিস্তারকারী মনোভাব কারও অজানা নয়। ফলে এই বিষয়টা হালকাভাবে নেওয়া ভীষণই বিপদজনক হতে পারে। এ বিষয়ে কারও দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি করা হচ্ছে।'সেখানে লেখা হয়েছে, 'চিন থেকেই রোগটা ছড়াল। এদিকে চিনেই রোগের প্রকোপ অন্যান্য দেশের আগে ঠিক হয়ে গেল। বিষয়টা বেশ সন্দেহজনক। এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের প্রয়োজন।'পিটিশনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ভারতে ছড়িয়ে পড়ার সময়ে শুরুর দিনগুলিতে বিদেশ থেকে কীভাবে সংক্রমিত ব্যক্তিরা ভারতে প্রবেশ করেন, সে নিয়েও তদন্ত করা উচিত্।প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রথম পর্যারের তদন্তে বলা হয়েছে, 'করোনাভাইরাস কৃত্রিমভাবে উহানের গবেষণাগারে তৈরি কিনা, তা বলার সময় এখনও আসেনি। এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রমাণ নেই।'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্তের পরিকল্পনায় সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চিন। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য পর্ষদের সহ-সভাপতি জেং জিক্সিনের কথায়, 'তদন্তে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু অরিজিন ট্রেসিংয়ের এই পরিকল্পনা আমরা মানতে নারাজ। এতে এমন কথা বলা হয়েছে যা সাধারণ বুদ্ধি বা বিজ্ঞানের ভাষায় ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক অভিসন্ধির উর্ধ্বে তদন্ত প্রয়োজন।'