করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে দেশব্যাপী লকডাউনের ফলে উন্নতি হয়েছে পারিবারিক ও পারস্পরিক সম্পর্কে। এমনই তথ্য জানিয়েছে চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (PGIMER), হৃষিকেশ এইমস এবং আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের 💜যৌথ সমীক্ষা রিপোর্ট।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মোট ৪৭.৪% ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী অথবা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিসাধন ঘটে🐬ছে। আবার ৪৭.৩% ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে সন্তানদের।
PGIMER মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সন্দীপ গ্রোভারের নেতৃত্বে এই সমীক্ষা গত মে মাসে 🥃করা হয়। Covid-ꦡ19 এর জেরে জারি হওয়া লকডাউন কী মানসিক প্রভাব বিস্তার করেছে, তা জানতেই এই সমীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। গবেষণায় প্রাধান্য পায় লকডাউনকালে মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ ও স্ট্রেস।
অধ্যাপক গ্রোভার জানিয়েছেন, প্রচলিত ধারণায় লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি দেখা দেওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, গবে𒁃ষণায় তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘মানুষ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারছেন বলেই সম্পর্কের উন্নয়নসাধন হচ্ছে।’
সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছিল মোট ১,৮৭১টি উত্তর, যার মধ্যে ১,৬৮৫টি বিশ্লেষণ করা হয়। দেশব্যাপী সমীক্ষায় অংশগ্ꦿরহণ করেন ৭৬৪ জন চিকিৎসক, ৩০ জন নার্স, ১১৭ জন ইঞ্জিনিয়ার এূং ১০৩ জন ব্যবসায়ী। এঁদের মধ্যে মাত্র ০꧃.৭% জানিয়েছেন, লকডাউনে আখেরে তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
জেখা গিয়েছে, শꦫুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্কই নয়, লকডাউনে অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছেন ৫৯.৬% উত্তরদাতা এবং ৬১.৮% তাঁদের প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গডꦛ়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩৮.২% উত্তরদাতা উদ্বেগে ভুগছেন এবং ১০.৫% মানসিক অবসাদের শিকার হচ্ছেন। ৪০.৫% উত্তরদাতা এই দুই সমস্যার কোনও একটিতে ভুগছেন বলে জানা গিয়েছে। ৭৪.১% মাঝারি পরিমাণে স্ট্রেস এবং ৭১.৭% মানসিক সুখী নন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া, ৩০.🍃৭% মানুষের মনে শোক বেড়েছে, ৩২.২% বিরক্তিতে, ৩২.৩% হতাশায়, ২১.৩% একাকীত্বে এবং ২০.৮% মৃত্যুভয়ে ভুগছেন বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।
২১.২% মানুষের ঈশ্বরে বিশ্বাস বেড়েছে আর ৪% লোকের মনে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে গিয়েছে। ৩৫.১% মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছেন, ২৭.৪% রান্না ও ৩৫.৮% ধোয়ামোছার ব্যাপারে আগ্রহী ﷽হয়ে পড়েছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, লকডাউন উঠে গিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এল🐟ে ফের অএকই বিষয়ের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে চূড়ান্ত সꦗিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে।