করোনাভাইরাসের প্রকোপের জেরে নিষিদ্ধ হয়েছে জমায়েত। তারপরেও উঠতে চাননি দিল্লির শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দিল্লির রাস্তা আটকে প্রতিবাদে বসেছিলেন অনেকে। অবশেষে প্রায় একশো দিন বাদে পুলিশ উঠিয়ে দিল শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের। দিল্লি পুলিশের পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন যে লকডাউন শুরু হওয়ার ফলে শাহিন বাগের বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সেই কথা না মানায়, বেআইনি জমায়েতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শাহিনবাগ খালি করে কিছু আইনভঙ্গকারীদের হাজতে পোরা হয়েছে বলেও পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত লকডাউন শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির শাহিনবাগ অনেকটা খালি হয়ে গিয়েছিল। পাঁচজন ছাড়া সবাই চলে গেছিল, কিন্তু নিজেদের চটি তারা সেখানে রেখে যায়, করোনাভাইরাস ও সিএএ-ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হিসাবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের উঠে যেতে অনুরোধ করেছিল করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু সোমবার শুনানি হয়নি করোনার জেরে আদালত কার্যত বন্ধ থাকায়। মঙ্গলবার সকালেই তাই সরে যেতে হল সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান জমায়েত স্থল শাহিনবাগকে।