ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১৫,০০০ ছুঁইছুঁই। তা সত্ত্বেও করোনা পরিস্থিতিতে ইতিবাচক দিকের খোঁজ মিলেছে বলে ꦚজান𝕴িয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : নির্বাচিত ঘরোয়া উড়ানের বুকিং শু💙রু এয়ার ইন্ডিয়ার
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, দেশের ২৩ টি রাজ্যের ২৭ টি জেলায় গত ১৪ দিন নয়া করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়নি। মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, 'তৃণমূলস্তরে আমাদের পদক্ষে🐟পের ফলে ইতিবাচক ফলাফল মিলছে। পুদুচেরির মাহে-সহ কর্নাটকের কোডাগুতে গত ২৮ দিনে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। এছাড়াও ২৩ টি রাজ্যের আরও ৪৫ টি জেলায় গত ১৪ দিনে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।' সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলা - জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং রয়েছে।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: পয়লা꧟ এপ্রি💮ল থেকে দেশে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধির হার কমেছে ৪০%
কেন্দ্রের বক্তব্য, এরকমভাবে কাজ চালিয়ে গেলে আগাম༒ীদিনে করোনা-মুক্ত জেলার সংখ্যা বাড়বে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, 'আমরা যদি জেলা স্তর সংক্রামক ও লকডাউনের উপর কাজ করতে থাকি, তাহলে আমাদের মনে হয় এরকম ফলাফল পাব।' তবে একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন, সর্বদা নজরদারি বজায় রাখতে হবে। কারণ আগে যে তিনটি জেলায় ১৪ দিন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়নি, সেখান থেকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। তার মধ্যে নদিয়াও রয়েছে। যুগ্মসচিব বলেন, 'এই তথ্য আপনাদের জানালাম। কারণ এটা একটা লড়াই। এমন একটা লড়াই যেখানে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।'
আরও পড়ুন : লকডাউনে বড় ক্ষতির মুখে রেল, কাঁটছ🧸াঁট হতে প♏ারে ওভারটাইমের টাকা সহ অন্যান্য সুবিধায়
পাশাপাশি শনিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ১,৯৯২ জন (পরে তা বেড়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ২,০১৪ হয়েছে) সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে শতাংশের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৩.৮। একইসঙ্গে মৃতদের ক্ষেত্রেও বয়সের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। আগরওয়াল জানান, এখনও পর্যন্ত (শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) মৃত্যুর হার ৩.৩ শতাংশ। শূন্য থেকে ৪৫ পর্যন্ত বয়সিদের মৃত্যুর হার ১৪.৪ শতাংশ। ৪৫-৬০ বছর পর্যন্ত তা কিছুটা কম - ১০.৩ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেকটা বেশি। ৬০-৭৫ বছর পর্যন্ত প্রবীণদের মৃত্যুর হার ৩৩.১ শতাংশ। ৭৫ বছরের পর মৃত্যুর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২.২ শতাংশ। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই একাধিক রোগে ভুগছিলেন - তা ৮৩ শতাংশ।