করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে এবার সুপার ভ্যাক্সিন তৈরি করার দাবি জানাল চিন। বেজিংয়ের দাবি, ১০ লাখ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে, যার কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। একই সঙ্গে টিকা দেওয়ার পরে তাঁদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হননি বলে চিনের দাবি। এই কারণেই এই ভ্যাক্সিনকে ‘সুপার ভ্যাক্সিন’ বলা হচ্ছে।চিনা সংস্থা সিনোফার্ম-এর তৈরি এই কোভিড ভ্যাক্সিন অবশ্য এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্ব সম্পূর্ণ করেনি। তা সত্ত্বেও কোভিড প্রতিষেধক হিসেবে এই সুপার ভ্যাক্সিন সাধারণের উপর প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে চিন সরকার। সিনোফার্ম-এর চেয়ারম্যান লিউ জিংজেন জানিয়েছেন, সুপার ভ্যাক্সিন প্রয়োগের ফলে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না বটে, তবে মামুলি কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যা সহজেই সারানো সম্ভব। তাঁর দাবি, বিদেশে সংস্থার এক দফতরে কর্মরত ৯৯ জন ক্রমীরক মধ্যে ৮১ জনকে এই টিকাদেওয়া হয়। এরপর সেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ দেখা দিলে, যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন তাঁরা জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত হননি। কিন্তু টিকা না নেওয়া ১৮ জন কর্মীর মধ্যে ১০ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।লিউ জিংজেনের আরও দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সেই সমস্ত শ্রমিক, ছাত্র ও কর্মীদের উপরে প্রয়োগ করা হয়, যাঁরা অতিমারী শুরু হওয়ার পরে বিদেশ সফর করেছেন। দেখা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার পরে এঁদের কারও মধ্যে সংক্রমণ দেখা দেয়নি। এর জেরে গত ৬ নভেম্বর চিন থেকে ভিন্ন দেশে সফরকারী ৫৬,০০০ যাত্রীকে রওনা হওয়ার আগে সুপার ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে, সিনোফার্ম-এর তৈরি সুপার ভ্যাক্সিন বর্তমানে ট্রায়ালের তৃতীয় তথা অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের ১০টি দেশের ৬০,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর উপরে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে।আরও জানা গিয়েছে, একসঙ্গে দুটি কোভিড টিকা তৈরি করছে সিনোফার্ম। এর মধ্যে কোনটি সুপার ভ্যাক্সিন তকমা পেয়েছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।চিনে তৈরি কোভিড টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার পরে ওষুধ উৎপাদক সংস্থা ক্যেন বায়োলজিক্স ঘোষণা করেছে, চিনা সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপরে ওই টিকা প্রয়োগের অনুমতি তারা পেয়েছে। উল্লেখ্য, মার্কিন সংস্থা ফাইজার যবে থকে তাদেরতৈরি ভ্যাক্সিন কোভিড সংক্রমণ রুখতে ৯৫% সফল বলে জানিয়েছে, তার পর থেকে একাধিক দেশ কার্যকরী কোভিড টিকা তৈরির দাবি জানাতে শুরু করেছে। এখন সেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে চিনও।