অ্যাস্ট্রা জেনেকার সঙ্গে যৌধ উদ্যোগে তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের বিরুদ্ধে মজবুত প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সক্ষম, সাম্প্রতিক সমীক্ষার ভিত্তিতে এই দাবি করল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিভুক্ত শ্রেণির অন্তর্গত প্রবীণদের কয়েক মাস আগে দেওয়া টিকার সুবাদে জোরদার প্রতিরোধশক্তি দেখা দিয়েছে। তবে পাকাপাকি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আগামী কয়েক সপ্তাহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অন্তিম পর্যায়ের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন গবেষকরা। ওই ফলের উপরেই নির্ভর করবে, ফাইজার ইনকর্পোরেটিভ ও মডার্না ইনকর্পোরেটিভ-এর তৈরি ভ্যাক্সিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কতটা এঁটে উঠতে পারে কি না অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা।এ দিকে অক্সফোর্ডের দেওয়া তথ্য-সহ কোভিড ভ্যাক্সিন সম্পর্কে বেশ কিছু সদর্থকখবর পাওয়া গিয়েচে। গত বুধবার ফাইজারের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রায়াল থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হার ৯৫% সফল বলে জানা গিয়েছে। এবার মার্কিন স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পেলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টিকা উৎপাদন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে অক্সফোর্ডের টিকার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানা গিয়েছে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে শরীরের ভিতরের টি-সেলগুলিকে সক্রিয় করে তোলে ভ্যাক্সিনটি এবং তার জেরে ২৮ দিন পরে বুস্টার ডোজ নেওয়া হলে শরীরে সম্পূর্ণ প্রতিরোধশক্তি গড়ে উঠতে সাহায্য করে।