অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাসের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেন্ট’ নিয়ে গত কয়েকদিনে উদ্বেগ কিছুটা বেড়েছিল। তারইমধ্যে মিলল স্বস্তির খবর। প্রবীণদের শরীরে সেই সম্ভাব্য টিকার ভালো সাড়া মিলেছে বলে জানানো হয়েছে। যা করোনায় ধুঁকতে থাকা বিশ্বের কাছে নয়া আশার সঞ্চার করেছে।অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ফলে প্রবীণদের শরীরে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, তা কমিয়েছে 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'। অক্সফোর্ডের সঙ্গে মিলিতভাবে যে সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা। সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক যে প্রবীণ এবং তুলনায় কিছুটা কম বয়সি প্রাপ্তবয়স্কের শরীরে একইরকমের অনাক্রম্যতার প্রতিক্রিয়া ধরা পড়েছে। যে ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ রোগের প্রভাব বেশি, সেখানে বেশি প্রবীণদের শরীরে প্রতিক্রিয়াশীলতা কম।’বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষপর্যন্ত সেই কার্যকারিতা থাকলে করোনা-যুদ্ধে বড়সড় গেমচেঞ্জার হতে চলেছে অক্সফোর্ডের টিকা। করোনায় সবথেকে বেশি প্রভাবিত হচ্ছেন বয়স্করা। তাঁদের মৃত্যুর হার বেশি। অক্সফোর্ডের টিকায় প্রবীণদের শরীরে সাড়া মেলায় তা যথেষ্ট আশার আলো সঞ্চার করেছে। টিকা কাজ করলে মহামারীর ধাক্কা থেকে অনেকটা মুক্তি মিলবে। এমনিতেই সেই ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের ১.১৬ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যে ভাইরাসের প্রভাবে কয়েকশো কোটি মানুষের জীবনে চূড়ান্ত প্রভাব পড়েছে। ধসে পড়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। অ্যাস্ট্রোজেনেকার মুখপাত্র বলেন, 'এজেডডি১২২২ (অক্সফোর্ডের করোনা টিকা) সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতার প্রমাণ হিসেবে সেই ফলাফল আরও মজবুত হবে।’কিন্তু কবে টিকা মিলতে পারে? ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, ২০২১ সালের প্রথম ভাগের দিকে বাজারে আসবে ভেবেই প্রস্তুতি চালানো হচ্ছে। চলতি বছরেই টিকা মিলবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে বিসিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি এটা উড়িয়ে দিতে চাই না যে সেটাই আমার আশা।’