অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার হাতে ধরেই প্রথম করোনাভাইরাস টিকা পেতে পারেন ভারতীয়রা। যে টিকা চলতি বছরের শেষের মধ্যেই মিলতে পারে। একইসঙ্গে দেশে তৈরি সম্ভাব্য টিকাগুলিকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ট্রায়ালে ছাড়পত্র পেলে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সেগুলি বাজারে আনা হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।সূত্রের মারফত, হিউম্যান ট্রায়াল পর্যায়ে থাকা ভারতের দুটি টিকার তুলনায় আপাতত এগিয়ে আছে অক্সফোর্ডের 'ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট'। সে টিকা তৈরির ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক আধিকারিক বলেন, 'যদি (অক্সফোর্ডের) টিকা ছাড়পত্র পায়, তাহলে তা ব্যবহার করার চিন্তা কার্যকরী। কারণে সেই টিকা ভারতেই তৈরি হচ্ছে।'চলতি সপ্তাহেই ভারতে দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করছে সেরাম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রায়ালের জন্য ইতিমধ্যে দেশের ১০ টি কেন্দ্র বেছে নিয়েছে সংস্থাটি। প্রায় ১,৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবক সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন'-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। যা যৌথভাবে তৈরি করছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল কাউন্সিল (আইসিএমআর)। ভারত বায়োটেকের জাইডাস ক্যাডিলার 'জাইডকোভ ডি' টিকারও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।শুধু দেশে নয়, বিদেশে তৈরি টিকার তুলনায় অক্সফোর্ডের টিকা পাওয়া ভারতের ক্ষেত্রে বেশি সুবিধাজনক। কারণ সেই টিকার উৎপাদন ও বণ্টনের সঙ্গে যুক্ত আছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম। 'গাভি'-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেরামের টিকা তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে টাকা দেওয়ারও কথা ঘোষণা করেছে 'বিল অ্যান্ড এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন'।