কেরলে ফের ফিরছে মাস্ক আর সামাজিক দূরত্ব। দীর্ঘদিন পরে ফিরছে সেই করোনা সতর্কতা। সোমবার এনিয়ে সরকারের তরফে নোটিফিকেশনও জারি করা হয়েছে। কোভিড সতর্কতা হিসাবে আপাতত এই দুটি বিষয়কে আবশ্যক করা হচ্ছে কেরলে।তবে এই নির্দেশিকাতে সই করা হয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। মুখ্য়সচিব এই নির্দেশিকায় সই করেছেন। তবে সোমবার বিষয়টি সামনে এসেছে। তবে এর সঙ্গেই সরকার জানিয়েছে, ভয়ের কোনও ব্যাপার নেই। একটি সতর্কতামূলক ব্য়বস্থা হিসাবে এই নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ এই নির্দেশের লঙ্ঘন করলে তাকে জরিমানা করার কোনও ব্যাপার নেই। কেরল এপিডেমিকস অ্য়াক্ট ২০২১ অনুসারে এই নোটিফিকেশনটি জারি করা হয়েছে। এটা পরামর্শ হিসাবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে। তবে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে সকলে এটা বজায় রাখে।তবে আধিকারিকরা জানিয়েছেন কোভিড বেড়ে গিয়েছে এমনটা নয়। তবে চিনের পরিস্থিতির জেরে এখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, সমস্ত পাবলিক প্লেস, কাজের জায়গায়, জমায়েত হতে পারে এমন জায়গায় গাড়ির ভেতরেও সকলকেই মাস্ক পরে থাকতে হবে।পাশাপাশি বলা হয়েছে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ও কর্মসূচিতে সাবান ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে।এদিকে সব মিলিয়ে অতিমারি পরিস্থিতি অন্তত ১, ৪০০০০ কেস রুজু করা হয়েছিল। কোভিড বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে সেই মামলাগুলি তুলে নেওয়া হয়।গত বছর এপ্রিল মাসে সরকার কোভিড সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছিল। এদিকে মহারাষ্ট্রের পরেই কোভিডের ভয়াবহতার নিরিখে উল্লেখযোগ্য স্থানে ছিল কেরল।তবে ফের এনিয়ে সতর্কতা লাগু করা হচ্ছে। মূলত সতর্কতা হিসাবেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এদিকে দেশের অন্য়ান্য রাজ্যেও কোভিডকে ঘিরে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তুলে রাখা মাস্ক আবার নতুন করে বের করছেন অনেকে।চিনের কোভিড পরিস্থিতি ভয় ধরাচ্ছে অনেকের মনে। বিগত প্রায় একমাস ধরে কোভিড অতিমারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে চিনে। কোভিড লকডাউন তুলে দেওয়ার পর থেকেই সেদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নানান রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। কোভিডে কয়েক হাজার রোগীর মৃত্যুর পূর্বাভাস করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তার মাঝেই শি জিনপিং প্রশাসনের অস্বস্তি কাটাতে কোভিড পরিসংখ্যান প্রকাশই বন্ধ করে দিয়েছিল চিন। এই আবহে দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর ফের করোনা পরিসংখ্যান প্রকাশ করল চিন। তাতে বলা হয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চিনে ৬০ হাজার কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।