ওমিক্রন আবহে করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড টিকার উত্পাদন আর্ধেক করা হতে পারে বলে জানালেন সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালা। পুনাওয়ালা দাবি করেন যে সরকারের তরফে থেকে অত সংখ্যক টিকার অর্ডার নেই। এই পরিস্থিতিতে তিনি উত্পাদন কমাবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন বলে জানান আদর।এই বিষয়ে আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘আমি আসলে এমন একটি দ্বিধায় আছি যা আমি কখনো কল্পনাও করিনি... আমরা প্রতি মাসে ২৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করছি কিন্তু ভালো খবর হল যে ভারত তার জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে টিকা দিয়ে ফেলেছে এবং আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আমাদের সমস্ত অর্ডার সম্পূর্ণ করব এক সপ্তাহের মধ্যে।’পুনে ভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ফার্ম ইতিমধ্যেই সরকারকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছে যে ভবিষ্যতে ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ নিয়ে কী ভাবনাচিন্তা রয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে টিকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে চেয়েছে সেরাম। যেহেতু এখন পর্যন্ত সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে অন্য কোনও অর্ডার নেই তাই এখন সেরাম উত্পাদন কমানোর কথা ভাবছে।কোম্পানির তরফে পুনাওয়ালা জানান, ভারতে বা বিশ্বে আবার যখন টিকার প্রয়োজনীয়তা বাড়বে, তখন মাসিক ভিত্তিতে ফের উৎপাদন বাড়ানো হবে।পুনাওয়ালা বলেন, ‘আট মাস ধরে যখন আমরা রপ্তানি করতে পারিনি, অন্যান্য দেশগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য কোথাও থেকে অনুদানের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহ পরিচালনা করেছিল এবং আমরা প্রচুর বাজারের অংশ হারিয়েছি। যদি তাদের বুস্টার ডোজগুলির জন্য আরও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হয়, তা জানতে আমরা ইতিমধ্যেই তাদের (কেন্দ্রীয় সরকারকে) চিঠি দিয়েছি। এখন এটি বুস্টার নীতির উপর এবং তাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভার করছে যে তারা পরবর্তী করোনা ঢেউ আসার আগে আরও টিকা সংগ্রহ করবে এবং মজুদ করবে কিনা। আমরা তাদের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’