উত্তরাখণ্ডের এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। সাইবার প্রতারনার খপ্পড়ে পড়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে ২৮ লাখ টাকা খোয়া গিয়েছে তাঁর। তাঁর দ𝐆াবি, কৌন বনেগা ক্রোড়পতির নাম করে তাকে ফোন করা হয়েছিল। ১ কোটি টাকার লটারির টোপ দেওয়া হয়েছিল তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত তার খোয়া যায় ২৮ লাখ টাকা।
এদিকে এই ঘটনায় শুক্রবার ঋষিকেশ থেকে এক যুবককে ꦐগ্রেফতার করা হয়েছিল। স্কুল থেকে পড়াশোনা ছেড়়ে দিয়ে সে এই প্রতারণার কাজ শুরু করেছিল বলে খবর। অপর একজনকে কয়েক সপ্তাহ আগে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার আবার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিও রয়েছে। তাদের নাম আফরোজ আলি ও আলতাফ আলি। তারা দুজনেই ওড়িশার ক♓েন্দ্রাপাড়ার বাসিন্দা।
ওই শিক্ষকের নাম রাজেন্দ্র সিং ক𓆉ার্কি। তিনি উত্তরাখণ্♚ডের পিথোরাগড়ের বাসিন্দা।
কিন্তু কীভাবে এই প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল অভ꧋িযুক্তরা? সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত। গত বছর তাকে ফোন করে বলা হয়েছিল কেবিসি তার ফোন নম্বরটিকে পুরষ্কার দেওয়ার জন্য বাছাই করেছে।
তিনি লাকি বিজেতা, তবে এই ১ কোটি টাকা পাওয়ার জন্য় জিএসটি ও আয়কর বাবদ তাকে ২৮ লাখ টাকা দিতে হবে। বলা হয়েছিল ফ🍸োনে। এটা শুনে ধাপে ধাপে টাকা পাঠাতে শুরু করেন ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তবে পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তারপরই তিনি পুলিশের কাছে যান। পরে পুলিশ তদন্তে নামে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওড়িশা থেকে আফরোজকে গ্রেফতার করেছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে অভিযুক্তের একাধিক ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট রয়েছে। সেখানে তারা ধাপে ধাপে টাকা জ🌱মা রাখে। কেউ যাতে সন্দ🤪েহ না করে সেকারণে বিভিন্ন তারিখে তারা টাকা জমা রাখে ব্যাঙ্কে।
এদিকে ওই অভিযুক্তরা হোয়াটস অ্য়াপ গ্রুপের মাধ্য়মে যোগাযোগ রাখত। মূলত বয়স্ক লোকজনকে তারা টার্গেট করত। এরপর কৌশলে তাদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষা হয়। তবꦺে শেষ পর্যন্ত তাদের নাগাল পেয়ে গেল পুলিশ।